Advertisement
E-Paper

‘বদলের সময়কালে’ সায় দিলেন রানি

রানির সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা আগে হ্যারি এবং তাঁর দাদা রাজকুমার উইলিয়াম আবার জানান, তাঁদের মধ্যে কোনও রকম দ্বন্দ্ব নেই।

শ্রাবণী বসু

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪১
রাজকুমার হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগানের সাথে রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ।—ছবি এএফপি।

রাজকুমার হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগানের সাথে রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ।—ছবি এএফপি।

ইতিবাচক সাড়াই দিলেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। গত বুধবার রাজকুমার হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান ‘সিনিয়র রয়্যাল’-এর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে আজ বৈঠকে রানি জানালেন, ওঁদের ইচ্ছের প্রতি তাঁর ‘পুরোপুরি সমর্থন’ রয়েছে। কিন্তু রানি মনে করেন, ওঁরা ‘রয়্যাল’ থেকে গেলেই ‘বেশি ভাল হত।’ রানির বক্তব্য, হ্যারি ও মেগান এ বার কানাডা ও ব্রিটেনে মিলিয়ে মিশিয়ে সময় ভাগ করে থাকবেন। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে আরও কিছু প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ৯৩ বছরের রানি।

রানির সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা আগে হ্যারি এবং তাঁর দাদা রাজকুমার উইলিয়াম আবার জানান, তাঁদের মধ্যে কোনও রকম দ্বন্দ্ব নেই। ব্রিটেনের একটি পত্রিকায় আজ দাবি করা হয়েছিল, মেগান আর হ্যারি নাকি বলেছেন, উইলিয়াম তাঁদের সঙ্গে ‘অপমানজনক আচরণ’ করেছেন। এই প্রতিবেদনের ভাষা ব্যবহার নিয়ে কড়া আপত্তি জানিয়েছেন দুই ভাই-ই।

পত্রিকাটি লিখেছে, হ্যারির স্ত্রী মেগান নাকি বলেছেন, ব্রিটেনের রাজপরিবারে ২০ মাস থাকার পরে এ বার সরে যেতে চান তিনি। সব কিছুর দায় তিনি চাপিয়েছেন হ্যারির বড় ভাই উইলিয়ামের উপরে। বড়দিনের মরসুমেই নাকি মেগান বলেছিলেন, ‘‘এ ভাবে আমি আর পারছি না!’’

কিন্তু আজ ওই পত্রিকাকে এক হাত নিয়ে হ্যারি-উইলিয়াম বলেছেন, ‘‘আমরা ওই খবরের সত্যতা স্বীকার না করা সত্ত্বেও ব্রিটেনের দৈনিকে সেটি প্রকাশিত হয়েছে।’’ এর পরে দুই ভাই বুঝিয়েছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের মতো বিষয়ে তাঁরা অসম্ভব গুরুত্ব দেন। তাই তাঁদের কেউ অবমাননাকর ভাষা প্রয়োগ করবেন, এটা অকল্পনীয়। ক্ষতিকরও বটে।

অন্য দিকে প্রিন্স ফিলিপ আবার ক্ষুব্ধ বলে দাবি। নরফোকের স্যানড্রিংহ্যাম এস্টেটে আজ তাঁকে সে ভাবেই দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, আলোচনায় তিনি থাকতে চান না। রানি, যুবরাজ চার্লস এবং উইলিয়ামের উপরেই বিষয়টি ছেড়ে দেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে বাইরের কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন ফিলিপ। তার পর থেকে নরফোকের স্যানড্রিংহ্যাম এস্টেটের একটি কটেজে থাকেন রানির সঙ্গে। গত বুধবার হ্যারি-মেগানের ঘোষণার পর থেকেই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন ফিলিপ। ঘনিষ্ঠ সূত্রে তিনি নাকি বলেছিলেন, ‘‘ওরা কী করতে চাইছে?’’ স্যানড্রিংহ্যাম এস্টেটের আলোচনায় আজ হ্যারিকে বোঝানো হয়েছে, ‘সিনিয়র রয়্যাল’-এর পদ থেকে সরলে কী কী বাধা তৈরি হবে। বৈঠকে উইলিয়ামের স্ত্রী, ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট ছিলেন না।

Queen Elizabeth Prince Harry Meghan Markle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy