বাচ্চার অভিভাবকত্ব কে পাবেন, সেই নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়েছিল মা-বাবার মধ্যে। তা গড়াল অপহরণে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বাবা নিজের সন্তানকেই তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বন্দি’ করলেন হামবুর্গ বিমানবন্দরে। ‘বন্দুকবাজ অপহরণকারীর’ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল নিমেষে। কার্যত বন্ধ বিমানবন্দর। বাতিল হল অন্তত ৬০টি উড়ান। বিপাকে পড়লেন তিন হাজারের বেশি যাত্রী। ১৮ ঘণ্টা টানাপড়েনের শেষে বিনা বাধায় আত্মসমর্পণ করলেন ‘আততায়ী’। উদ্ধার করা হল ৪ বছরের শিশুটিকে। পুলিশ জানিয়েছে, সে অক্ষত রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত কাল রাত ২টো নাগাদ আগ্নেয়াস্ত্রধারী ওই ব্যক্তি সিকিয়োরিটি গেট ভেঙে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েন হামবুর্গ বিমানবন্দরে। শূন্যে দু’বার গুলি ছোড়েন তিনি। তার পর দু’টো জ্বলন্ত বোতল গাড়ির জানলা দিয়ে ছুড়ে ফেলেন। শেষে বিমানবন্দরের টারম্যাকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিমানের নীচে গাড়িটিকে দাঁড় করান।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির কথা মাথায় রেখে তারা সাবধানে পা ফেলছিল। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরে ৩৫ বছর বয়সি অপহরণকারী নিজে থেকেই আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের সন্দেহ, বাচ্চা কার কাছে থাকবে, সেই নিয়ে ঝগড়া থেকেই অপহরণ। বাচ্চাটির মা পুলিশের কাছে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্তানের বাবা ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করে চলেছেন। অপহরণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। একটি জার্মান সংবাদ সংস্থার খবর, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে স্টেজ-এ থাকে। ওই যুবক থাকেন অন্য শহরে। গত কাল তিনি মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে পালান। তার পর ঢুকে পড়েন হামবুর্গ বিমানবন্দরে।
ঘটনার সময়ে তুরস্কের একটি উড়ান সংস্থার বিমান ও আরও কিছু বিমান টার্মিনালে দাঁড়িয়েছিল। সেগুলিকে দ্রুত ফাঁকা করা হয়। টার্মিনাল বিল্ডিংগুলোকেও ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সমস্যায় পড়েছেন তিন হাজারেরও বেশি যাত্রী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)