Advertisement
০২ মে ২০২৪
Myanmar Conflict

হেলিকপ্টারে বিদ্রোহীদের গুলি, মায়ানমারে নিহত সেনাবাহিনীর অন্যতম শীর্ষস্তরের আধিকারিক

থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকদের পরিচালিত একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিহত সেনা আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার স্তরের। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং হেলিকপ্টারের দুই পাইলটও নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন।

An Image Of Soldiers

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৪
Share: Save:

বিদ্রোহী জোটের স্নাইপারের গুলিতে নিহত হলেন মায়ানমার ফৌজের শীর্ষ পর্যায়ের এক আধিকারিক-সহ চার সেনা। সোমবার সোমবার তাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়ানমারের থিনগানিনাউং শহরের একটি সেনাঘাঁটিতে হেলিকপ্টারটি অবতরণের সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সেনা ঘাঁটি লাগোয়া মিয়াওয়াদ্দি শহরের দখল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সেনা ও বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে।

থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকদের পরিচালিত একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিহত সেনা আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার স্তরের। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং হেলিকপ্টারের দুই পাইলটও নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন। তবে হেলিকপ্টারে থাকা আরও দুই সেনা অফিসার বেঁচে গিয়েছেন। বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি রুখতে গত সপ্তাহে রাখাইন প্রদেশের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ শুরু করেছিল মায়ানমার বায়ুসেনা। সোমবারের হামলাকে তারই ‘জবাব’ বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বর থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে সামিল হয়েছে, ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)-এর মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ এবং জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Myanmar Violence Myanmar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE