ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল।- ফাইল চিত্র।
আরও ভয়ঙ্কর, আরও অনেক বেশি শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যার পাল্লা হবে ১২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। যা উৎক্ষেপণের পর লক্ষ্যে পৌঁছনো পর্যন্ত মোট তিনটি ধাপে তার গতি বাড়াতে পারবে। আর চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে একই সঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। পিয়ংইয়ং থেকে ওয়াশিংটনের দূরত্ব ১১ হাজার ৪৮ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের যে সব নকশা ও ছবি ছাপানো হয়েছে, তা দেখে সমর বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আসলে ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। আর সেগুলি তিন ধাপের। যাকে বলা হয় থ্রি-স্টেজ মিসাইল। পিয়ংইয়ং-এর সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনও জায়গায় যে কোনও মুহূর্তে আঘাত হানতে পারবে। এমনকী, তা একই সঙ্গে আঘাত হানতে পারবে একাধিক লক্ষ্যেও।
উত্তর কোরিয়া এত দিন যে সব পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে বা সে সব নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছে, সেগুলি ছিল মূলত টু-স্টেজ মিসাইল বা দুই ধাপের ক্ষেপণাস্ত্র। আর যে ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা হালে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে ছাপানো হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেগুলি আগের চেয়ে অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন- প্রশ্ন উস্কে মার্কিন রণতরী গোয়ায়
আরও পড়ুন- এল ২০০ টাকার নোট, কিন্তু এখনই মিলবে না এটিএমে
সোলের কিউঙ্গনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কিন দং-ইউব রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘আমরা যার নকশা দেখেছি, সেটা আসলে ‘হোয়াসং-১৩’ ক্ষেপণাস্ত্রের। এগুলি জাতে আইসিবিএম। সর্বাধিক ১২ হাজার কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুর ওপরেও আঘাত হানতে পারে।’’
গত কয়েক মাস ধরে পরীক্ষামূলক ভাবে একের পর এক দূর পাল্লার আইসিবিএম উৎক্ষেপণ করেছে পিয়ংইয়ং।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে পিয়ংইয়ং হুমকি দিয়েছিল, তারা যে কোনও মুহূর্তে আঘাত হানতে পারে আমেরিকার ভৌগোলিক সীমার মধ্যে থাকা গুয়াম দ্বীপে। পরে তারা পিছু হঠলেও ওই হুঁশিয়ারির পর পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ও দিকে, জাপান শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। টোকিও জানিয়েছে, জাপানের ভূখণ্ড থেকে চিন ও নামিবিয়ার যে সংস্থাগুলি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা, বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের তাদের যাবতীয় সম্পত্তি এ বার বাজেয়াপ্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy