অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হল। এখনই পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না সুনীতা উইলিয়ামসরা। মহাকাশযানের যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য ফের পিছোচ্ছে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরার দিনক্ষণ। যান্ত্রিক গোলযোগ সারিয়ে মহাকাশযান কবে আবার সুনীতাদের ফেরাতে রওনা দেবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে দ্রুত সেই কাজ করার চেষ্টা করছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স।
গত বছরের ৫ জুন মহাকাশে গিয়েছিলেন মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা এবং বুচ উইলমোর। গত মাসে সুনীতাদের ফেরানোর জন্য নির্ধারিত মহাকাশযান ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের তারিখ জানিয়েছিল নাসা। জানানো হয়েছিল, ১২ মার্চ সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ওই মহাকাশযান। তাতে থাকবেন আরও চার নভশ্চর। নাসার তরফে অ্যান ম্যাক্লেন এবং নিকোল আয়ার্স, জাপানের তরফে তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার তরফে কিরিল পেসকভ ক্রিউ ১০-এ চড়ে মহাকাশে যাবেন। তাঁদের গবেষণার কাজ বুঝিয়ে দিয়ে একই মহাকাশযানে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা।
কিন্তু নাসা এবং স্পেসএক্স-এর তরফে জানানো হয়, যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য মহাকাশযান ফ্যালকন ৯-এর উৎক্ষেপণ স্থগিত রাখা হচ্ছে। সুনীতাদের ফেরাতে কবে এবং কোন সময় ফের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে মহাকাশযান রওনা দেবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে খুব দ্রুতই সেই কাজ করার চেষ্টা হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৫ জুন মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। মাত্র আট দিন পরেই তাঁদের ফিরে আসার কথা ছিল পৃথিবীতে। কিন্তু আট দিনের সফর যে ১০ মাসেরও বেশি দীর্ঘায়িত হবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি। যে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে সুনীতারা মহাকাশে গিয়েছিলেন, উৎক্ষেপণের কয়েক দিনের মাথায় তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। তাই ওই মহাকাশযানে তাঁদের ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি আমেরিকার সংস্থা। ফলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই আটকে পড়েন দুই নভশ্চর। পরে সুনীতাদের ফেরানোর জন্য ইলনের সংস্থা স্পেসএক্সের সাহায্য নেয় নাসা।