গ্যাস ও তেলের জন্য গোটা ইউরোপ মূলত নির্ভর করে পুতিনের দেশের উপর। ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে চাপানো নিষেধাজ্ঞার ফলে ইয়োরোপে তেলের দাম আকাশ ছোওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে তেলের দাম মাত্রাছাড়া বাড়লে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফাইল ছবি।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে মস্কোর উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো শুরু করে দিল আমেরিকা ও তার পশ্চিমের বন্ধুদেশেরা। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ অব্যাহত রাখলে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশকে, হুঁশিয়ারি হোয়াইট হাউসের। নিষেধাজ্ঞার ফলে পশ্চিমের সঙ্গে মস্কোর সমস্ত রকম অর্থনৈতিক লেনদেনে আপাতত দাঁড়ি পড়ে গেল। বাইডেন জানিয়েছেন, দেশ হিসেবে শুধু রাশিয়া নয়, সে দেশের বৃহৎ উদ্যোগপতিদের জন্যও বন্ধ পশ্চিমের বাজার। পাশাপাশি রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক ভিইবি এবং মিলিটারি ব্যাঙ্কের উপরও জারি হবে এই নিষেধাজ্ঞা।
দেশের বাইরে সেনা শক্তির ব্যবহারে রাশিয়ার পার্লামেন্ট সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরই হোয়াইট হাইসের তরফে এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আগেই ইউরোপের বাজার রাশিয়ার জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইয়োরোপীয় ইউনিয়ন। এ বার আমেরিকাও একই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল।
তবে শুধু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাই নয়, ইউক্রেন সঙ্কট সামাল দিতে কিভকে যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘নেটোর এলাকা রক্ষায় আমেরিকা দায়বদ্ধ। যে কোনও মূল্যে তা রক্ষা করা হবে। এই কারণেই ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তবে এই মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর কোনও সম্ভাবনা যে আমেরিকার নেই, তা-ও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার উপর এক তরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপান হলেও, মূলত গ্যাস ও তেলের জন্য গোটা ইয়োরোপ নির্ভর করে পুতিনের দেশের উপর। ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে চাপানো নিষেধাজ্ঞার ফলে ইয়োরোপে তেলের দাম আকাশ ছোওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে তেলের দামের মাত্রাছাড়া বৃদ্ধি হলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy