ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। ফাইল চিত্র।
রাজধানী কিভে রুশবাহিনীর প্রবল হামলার মাঝেই আমেরিকা সফরে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। আকাশযাত্রায় রুশ যুদ্ধবিমানের হামলা এড়ানোর জন্য যাত্রপথের নজরদারিতে ছিল নেটো জোটের গুপ্তচর বিমান। আমেরিকার যুদ্ধবিমান ‘আগলে নিয়ে’ যায় তাঁকে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পরে এটিই জ়েলেনস্কির প্রথম বিদেশ সফর।
পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, আমেরিকার বায়ুসেনার বোয়িং সি-৪০ বিমানে ওয়াশিংটন গিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তাঁর উড়ানযাত্রার একাংশ ছিল কৃষ্ণসাগরের রুশ নিয়ন্ত্রিত জলপথের অদূরে। সেখানে নিয়মিত আনাগোনা রয়েছে রুশ নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজের। তাই আমেরিকার বিমানবাহিনীর এফ-১৫ যুদ্ধবিমানের পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বিমানকে। পোল্যান্ড, জার্মানি এবং উত্তর ইংল্যান্ডের আকাশসীমা পার হয়ে বুধবার রাতে আমেরিকায় পৌঁছয় জেলেনস্কির বিমান।
প্রবল শীত আর তুষারপাতের মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে রুশ ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কিভের বিদ্যুৎ পরিষেবা। ইউক্রেন সরকারের একটি সূত্র পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘ব্ল্যাক আউটের’ প্রভাব পড়েছে শহরের জল সরবরাহ এবং অন্যান্য পরিষেবায়। ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়, শীতের মধ্যেই কিভ দখলের লক্ষ্যে নতুন প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রায় ২ লক্ষ রুশ ফৌজ। সেই বাহিনীতে রয়েছে বাছাই করা বেশ কিছু গোলন্দাজ, ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া ব্যাটেলিয়ন।
ইউক্রেন সেনার জেনারেল ভ্যালেরি জ়ালুঝনি সম্ভাব্য রুশ হামলা ঠেকাতে অস্ত্র সাহায্যের আবেদন জানান আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির কাছে। অস্ত্রের জোগান নিশ্চিত করাই যুদ্ধের আবহে জ়েলেনস্কির আমেরিকা সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে। জ়েলেনস্কি এক টুইট-বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি আমেরিকার কংগ্রেসেও বক্তৃতা করবেন। তাঁর আশা, এই সফরের মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy