২০১৪ সালে দখল নেওয়া ক্রাইমিয়া রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, মাস চারেক আগে গণভোটের মাধ্যমে জুড়ে নেওয়া ইউক্রেনের চার অঞ্চল— ডনেৎস্ক ও লুহানস্কের (একত্রে এই দুই অঞ্চলকে ডনবাস বলা হয়) পাশাপাশি জ়াপোরিজিয়া এবং খেরসন। সবগুলি অঞ্চলকেই দেখানো হয়েছে ইউক্রেনের অংশ হিসাবে।
আমেরিকা বা ইউরোপের কোনও দেশ নয়, সম্প্রতি টুইটারে অখণ্ড ইউক্রেনের এমন মানচিত্র পোস্ট করেছে সুইডেনের রুশ দূতাবাস! আর সেই পোস্টের জেরে নেটমাধ্যমে উপহাসের শিকার হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। প্রসঙ্গত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের দামের পরিসংখ্যান দিতে গিয়েই ওই মানচিত্রটি পোস্ট করা হয়েছিল।
Gasoline prices per liter, 9 January 2023 pic.twitter.com/cUbJjhuVQx
— Russian Embassy, SWE (@RusEmbSwe) January 17, 2023
আরও পড়ুন:
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। তার আগে রুশ সীমান্ত লাগোয়া পূর্ব-ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। ওই দুই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ রুশ।
আরও পড়ুন:
ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলে রাখার জন্য পুতিন জ়াপোরিজিয়াকে রুশ মানচিত্রে জুড়তে চান বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, বন্দর শহর ক্রাইমিয়া ও খেরসনের জন্য রুশ প্রেসিডেন্টের আগ্রহের মূল কারণ কৃষ্ণসাগরের উপর বছরভর নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখা। কারণ, মূল রুশ ভূখণ্ডের প্রতিটি বন্দরই বরফ জমার কারণে শীতে বন্ধ হয়ে যায়।