Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
INS Vikramaditya

বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বিক্রমাদিত্য ফিরছে আরও শক্তিশালী হয়ে! সমুদ্রে ভাসবে জানুয়ারিতেই

২০১৯ সালের এপ্রিলে এবং ২০২২-এর জুলাই মাসে দু’বার অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েও কর্মক্ষমতা কমেনি ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যের।

আবার সমুদ্রে ফিরছে ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য।

আবার সমুদ্রে ফিরছে ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১৫
Share: Save:

দু’বার অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েও কর্মক্ষমতা কমেনি ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যের। কর্নাটকের কারওয়ার বন্দরে প্রয়োজনীয় মেরামতি ও আধুনিকীকরণের কাজ এখন শেষের মুখে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী ৩০ জানুয়ারি ফের সমুদ্রে ভাসতে পারে বিক্রমাদিত্য। শুরু হবে ‘সি ট্রায়াল পর্ব’।

ভারতীয় নৌসেনার অন্য বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তেরও এখন চূড়ান্ত ‘সি ট্রায়াল’ চলছে। এই দু’টি যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ে কৌশলগত ভাবে বেজিংয়ের মোকাবিলায় নয়াদিল্লির অবস্থান মজবুত করবে। বর্তমানে বিক্রমাদিত্যে রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে ব্যবহার করা হয়। ইতিমধ্যেই বিমানবাহী রণতরীটির জন্য আরও আধুনিক নৌ-যুদ্ধবিমান কিনতে সক্রিয় হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সূত্রের খবর, ফরাসি রাফাল-এম অথবা আমেরিকায় তৈরি এফ-১৮ কেনা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে কারওয়ার বন্দর ছেড়ে সমুদ্রযাত্রার সময় আগুন লেগেছিল বিক্রমাদিত্যে। আগুন নেভাতে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক নৌসেনা অফিসারের। ওই ঘটনার পরেই বিক্রমাদিত্যের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে কারওয়ার বন্দরে ঢোকার মুখে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিল আইএনএস বিক্রমাদিত্য। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নৌসেনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ডিএস চৌহানের।

প্রসঙ্গত, ২০১৪-র জানুয়ারি মাসে রাশিয়ার থেকে ২৩০ কোটি ডলারে (প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা) বিমানবাহী রণতরীটি কিনেছিল ভারত। ২০১৮ সালে বিমানবাহী এই যুদ্ধজাহাজে বসানো হয় ‘মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম’। এর ফলে অনেক সহজে এই রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে। ২৮৪ মিটার লম্বা এবং ৬০ মিটার চওড়া এই যুদ্ধজাহাজটি ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু। ওজন ৪০ হাজার টন। বিক্রমাদিত্যের ডেকে ৩০ টি যুদ্ধবিমান এবং ৬টি হেলিকপ্টার রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE