জোরদার হল তদন্তকারীদের বোমা-তত্ত্বই। ভেঙে পড়া রুশ বিমান ধ্বংসের কারণ বোমা বিস্ফোরণই। বিমানের দু’টি ব্ল্যাকবক্স থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ কথাই জানা গিয়েছে তদন্তের সঙ্গে জড়িত সূত্রগুলির তরফে।
শনিবার তদন্তকারী একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার’ এবং ‘ভয়েস রেকর্ডার’ বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, বিমানটি ওড়ার পর সবই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আকাশে ওড়ার ২৪ মিনিটের মাথায় হঠাৎ সব কিছু বদলে যায়। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই রেডার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির। তদন্তকারী সূত্রের দাবি, ব্ল্যাকবক্স দু’টি থেকে স্পষ্ট বিস্ফোরণের শব্দই পাওয়া গিয়েছে। বিমানের ইঞ্জিন খারাপ হওয়ার সঙ্গে এ শব্দের কোনও মিল নেই।
গত ৩১ অক্টোবর মিশরের শরম অল-শেখ থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে যাওয়ার সময় সিনাই উপদ্বীপে ভেঙে পড়ে রুশ মেট্রোজেট এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ-৩২১। মৃত্যু হয় সাত জন বিমানকর্মী-সহ ২২৪ জন আরোহীর।
ঘটনার পরেই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মিশরীয় শাখা সংগঠন দাবি করেছিল, তারাই গুলি করে নামিয়েছে বিমানটি। সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে রুশ সেনার লাগাতার বিমান হামলার জবাব দিতেই এই হামলা চালানো হয় বলেও জানায় তারা। তবে এই দাবি পত্রপাঠ উড়িয়ে দেয় মিশর প্রশাসন।
মার্কিন এবং ইউরোপীয় তদন্তকারী সংস্থাও দু’দিন আগেই জানিয়েছিল, বোমা বিস্ফোরণই বিমান ধ্বংসের কারণ। আগে থেকেই বিমানের মধ্যে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল জঙ্গিরা। উপগ্রহ চিত্রে যে আগুনের গোলার ছবি ধরা পড়েছে, তা আসলে সেই বিস্ফোরণেরই ফল। কিন্তু এই বোমা-তত্ত্ব খারিজ করে দেয় মিশর ও রাশিয়া। রাশিয়া এ-ও জানিয়ে দেয়, এ সব ‘অবাস্তব’ সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে রাশিয়ার বিমানসূচিও বদলাবে না।
তবে আজ ব্ল্যাক বক্সের তথ্য পাওয়ার পরেই মিশরগামী সব যাত্রিবাহী বিমান বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উপযুক্ত নিরাপত্তা ফিরে না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেই জানিয়েছে ক্রেমলিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy