Advertisement
E-Paper

মস্কোর চালেই কি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ট্রাম্প

মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে ফের বোমা ফাটাল এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ২০১৬-র প্রেসি়ডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে ভরপুর ব্যবহার করেছিল রাশিয়া।

 সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২১

মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে ফের বোমা ফাটাল এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ২০১৬-র প্রেসি়ডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে ভরপুর ব্যবহার করেছিল রাশিয়া। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি নেটওয়ার্ক বিশ্লেষক সংস্থা এ নিয়ে একটি পুরোদস্তুর রিপোর্ট মার্কিন সেনেটে পেশ করতে চলেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এখানেই শেষ নয়, ট্রাম্প যাতে নির্বিঘ্নে তাঁর অফিস চালাতে পারেন, মস্কো সেই চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। যদিও গত নভেম্বরে দেশের মধ্যবর্তী নির্বাচনে এমন হস্তক্ষেপের কোনও অভিযোগ ওঠেনি। যে ভোটে মার্কিন কংগ্রেসের সেনেট নিজেদের দখলে রাখলেও, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস হাতছাড়া হয়েছে রিপাবলিকানদের।

গত বছর আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটি যে রিপোর্ট পেশ করেছিল, তাতে রুশ হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে এমনই ইঙ্গিত ছিল। তার পর চলতি বছরের জুলাইয়ে শোনা যায়, তদন্ত প্রায় শেষের মুখে। কিন্তু রিপাবলিকানদের একটা অংশ বরাবরই

এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে বাগড়া দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বেশ কয়েক বার। তাই এমন একটা সময়ে সংবাদমাধ্যম ফের সুর চড়ানোয় ট্রাম্প শিবির স্পষ্টতই চাপে প়ড়ল বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একটা বড় অংশ।

চাপে ফেসবুক, টুইটার, গুগলও। গুগল-প্লাসের ৫ কোটি ২৫ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সম্প্রতিই মার্কিন সেনেটে ডাক প়ড়েছিল সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাইয়ের। তথ্য ফাঁসের কথা মেনে নিয়েও তিনি জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক কোনও দলের প্রতি তাঁদের পক্ষপাত নেই। অক্সফোর্ডের নেটওয়ার্ক বিশ্লেষক সংস্থা কিন্তু বলছে, ২০১৬-র ভোটে প্রায় সব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকেই যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এ সব জানা গিয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির দেওয়া তথ্য থেকেই।

কী ভাবে চলত প্রচার? কৌশলটা খুব সহজ— সমর্থকদের উস্কে দাও, আর বিরোধীদের বিভ্রান্ত করো। অভিযোগ, ভোটের আগে ও পরে প্রোফাইল ধরে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা, ছবি এবং ভিডিয়ো পাঠানো হয়েছে। বন্দুক আইন থেকে অভিবাসন, কর্মসংস্থান, সমকামিতা, সমানাধিকার— কিচ্ছুটি বাদ পড়েনি প্রচারে। ফেসবুক, টুইটারের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবকেও সমান ভাবে হাতিয়ার করা হয়েছে ২০১৭-র মাঝামাঝি পর্যন্তও। অভিযোগ, ইয়াহু, মাইক্রোসফ্টের হটমেল সার্ভিস ও গুগলের জিমেল-এরও অপব্যবহার করেছে রাশিয়া।

কিন্তু এ সব তথ্য সেনেটের আগে কেন তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে। তথ্য ফাঁস এবং ভোটে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার পরে ফেসবুক এবং গুগল মার্কিন কংগ্রেসের কাছে কিছু তথ্য দিলেও, তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া যে তাদের ব্যবহার করে আমেরিকার ভোটে নাক গলিয়েছে, এটা তারা গত বছরেই স্বীকার করেছে।

Donald Trump ডোনাল্ড ট্রাম্প Moscow 2016 US election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy