ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়ার মতো জায়গাতেই নেই পশ্চিমি দেশগুলি! শুক্রবার এই দাবি করেছেন প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট তথা সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাশিয়ার অবস্থান বিবেচনা না করে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না।’’
মস্কোই একমাত্র কিভকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিতে পারে দাবি করে মেদভেদেভ নাম করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ-সহ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিকে নিশানা করেন। বলেন, ‘‘ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য যাঁরা তৎপরতা শুরু করেছেন, তাঁরা কি এক বারও রাশিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন?’’ প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার সকালে মাক্রোঁ জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি কিভের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে ২৬টি দেশ ইউক্রেনের সুরক্ষার জন্য একটি সহায়তা বাহিনী গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
এর পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমি দেশগুলিকে সতর্ক করে জানিয়ে দেন, চূড়ান্ত যু্দ্ধবিরতির আগে ইউক্রেনে কেউ যদি ইউরোপীয় রাষ্ট্রজোট সেনা পাঠায়, তবে তারাও রুশ সেনাবাহিনীর হামলার শিকার হবে। ঘটনাচক্রে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর চাপ বাড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রুশ হামলা রুখতে পশ্চিম ইউরোপের মিত্রদের সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে না। হোয়াইট হাউসের সূত্র উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে ফিনান্সিয়াল টাইমস এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস। ওই সূত্র জানিয়েছে, বিপুল আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।