Advertisement
E-Paper

নাগরিকরা লেবানন ছাড়ুন, বার্তা সৌদির

কী হতে পারে এতে? আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, সৌদি বলয়ের চার-চারটি দেশ একযোগে ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা জারি করায় লেবানন ঘিরে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৮

অন্য দেশগুলিকেও।

বাহরাইন বেঁকে বসেছিল হারিরির পদত্যাগের ঠিক পরের দিনই। সূত্রের খবর, কাল সৌদির তরফে নিষেধাজ্ঞা জারির ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে একই রকম নির্দেশ জারি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কুয়েত।

কী হতে পারে এতে? আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, সৌদি বলয়ের চার-চারটি দেশ একযোগে ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা জারি করায় লেবানন ঘিরে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। যা অর্থনৈতিক সঙ্কটের চেয়েও বড় আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা। সৌদি আরবের এই জোট অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আরও কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে। এখনই সামরিক পদক্ষেপের কোনও ইঙ্গিত না মিললেও পরিস্থিতি সে দিকেই এগোচ্ছে বলে আশঙ্কা একাংশের।

ফিরে আসছে ইরান-সৌদি যুদ্ধের আঁচও। গত শনিবার ইরানের সঙ্গে বৈঠক সেরে সৌদি আরবে এসে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন হারিরি। বহু দিন ধরেই লেবানন মোটামুটি দু’ভাগে বিভক্ত। একটা শিবির চালায় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হিজবুল্লা গোষ্ঠী, অন্যটি চালায় সৌদি আরবের সমর্থন পাওয়া হারিরির সুন্নিপন্থী দল। এখন হিজবুল্লাই গোটা লেবাননের দখল নিয়ে বসে আছে বলে ইস্তফা দেওয়ার দিন সুর চড়িয়েছিলেন হারিরি। কূটনৈতিক মহলের দাবি, এর পর থেকেই ইরানকে বাঁকা নজরে দেখতে শুরু করেছে সৌদি। যদিও এ সবের জেরে যদি সত্যিই যুদ্ধ বাঁধে সৌদি-ইরানের, তাতে লেবাননকেই ভুগতে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

কিন্তু হারিরি এখন কোথায়? শোনা যাচ্ছিল, হারিরি হয়তো ফ্রান্সের কাছেও রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে থাকতে পারেন। কাল সৌদি সফরে এসেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। হারিরির তরফে তিনি যদিও এমন কোনও অনুরোধ পাননি বলে জানিয়েছেন।

Saudi Arabia Lebanon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy