Advertisement
E-Paper

হোমওয়ার্কে ছাত্রছাত্রীদের সুইসাইড নোট লিখতে দিলেন শিক্ষক!

শিক্ষকের এই নির্দেশ মানতে গিয়ে তাঁদের সন্তানদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরা। একজন জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই তাঁর মেয়ের তিন বন্ধু আত্মহত্যা করেছে। এমনীতেই সে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তার পর হোমওয়ার্ক হিসাবে এই সুইসাইড নোট লিখতে বলায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে তাঁর মেয়ে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ২০:১৪
প্রতীকী ছবি। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

প্রতীকী ছবি। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

চোখ কপালে ওঠার মতো কাণ্ড। ৬০ জন পড়ুয়াকে হোমওয়ার্ক হিসাবে সুইসাইড নোট লিখে আনতে বললেন ইংরেজি শিক্ষক। লন্ডনের কিডব্রুকের থমাস টলিস স্কুলের ঘটনা।

এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ পড়াতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সুইসাইড নোট লিখে আনতে বলেন থমাস টলিস স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। শেক্সপিয়ারের ওই ট্যাজেডিতে লেডি ম্যাকবেথ যেখানে আত্মহত্যা করছেন, সেই দৃশ্যের অনুকরণে যদি ছাত্র-ছাত্রীরা আত্মহত্যা করে তবে সে সময় তাদের প্রিয়জনদের উদ্দেশে সুইসাইড নোটে তারা কী লিখবে? এমনই একটি হোমওয়ার্ক দেন ওই শিক্ষক। এরই সঙ্গে ওই প্রজেক্টে বলা হয়েছিল—‘কী ভাবে তুমি তোমার আত্মহত্যা করাকে ন্যায্য প্রমাণ করবে? আত্মহত্যার কী কারণ জানাবে?’

আরও পড়ুন: গাড়িতে আটকে রেখে নেশা করতে গেল মা, দম আটকে মৃত্যু দুই সন্তানের

শিক্ষকের এই নির্দেশ মানতে গিয়ে তাঁদের সন্তানদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরা। একজন জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই তাঁর মেয়ের তিন বন্ধু আত্মহত্যা করেছে। এমনীতেই সে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তার পর হোমওয়ার্ক হিসাবে এই সুইসাইড নোট লিখতে বলায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে তাঁর মেয়ে। শুধুই কেঁদে উঠছে।

স্কুলের সামনে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। ঘটনার জেরে বেশ অস্বস্তিতে লন্ডনের থমাস টলিস স্কুল। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ক্যারোলিন রবার্টস অভিভাবকদের কাছে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এ প্রকাশিত একটি খবরে এই ধরনের আচরণের জন্য সমালোচনা করে স্কুলের ‘সংবেদনশীলতা’ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। এক অভিভাবক একে বলেছেন ‘ভয়ঙ্কর’ হোমওয়ার্ক। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমার কখনওই এই ধরনের কাজকে সমর্থন করি না। স্কুলের পক্ষে থেকে তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’’

Bizzare Sucide Note HomeWork UK UK School লন্ডন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy