প্রতিষেধকের অপেক্ষায় দিন গুনছিল গোটা বিশ্ব। জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ যদি বা শুরু হল, তাতে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াল নোভেল করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি। এই নয়া করোনা আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি সংক্রামক বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিশ্বের তাবড় সংস্থাগুলির তৈরি প্রতিষেধক আদৌ এর বিরুদ্ধে কার্যকর হবে কি না, তা-ই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সব দেশের।
ব্রিটেনে করোনার যে নয়া প্রজাতির সন্ধান মিলেছে সেটিকে ভিইউআই-২০২০১২/০১ বা বি.১.১.৭ বলা হচ্ছে। কী ভাবে এই নয়া প্রজাতির জন্ম হল, তা নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হয়েছে, যে কোনও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসেরই চরিত্রবদল বা মিউটেশন ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নয়া প্রজাতিগুলি ক্ষণস্থায়ী হলেও, দ্রুতগতিতে সেগুলির ছড়িয়ে পড়া এবং এর ফলে মূল ভাইরাসের চরিত্রবদল হওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।
গত বছর চিনের উহানে যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্বে যে অতিমারি পরিস্থিতি দেখা দেয়, গত কয়েক মাসে একাধিক বার তার চরিত্রবদল হয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে কোভিডের প্রকোপে আমেরিকায় ১৫ হাজারের বেশি বেজির মৃত্যু হয়। তার জেরে সতর্কতামূলক ভাবে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ বেজিকে হত্যা করে ডেনমার্ক। তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সে দেশের সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, বেজিদের শরীরে ভাইরাসটির যদি চরিত্রবদল হয়, তা থেকে মানুষের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আবার কোভিড প্রতিষেধকও এর বিরুদ্ধে কার্যকর না-ও হতে পারে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।