শত্রুঘ্নের বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ছবি: টুইটার।
তিনি লাহৌরে গিয়েছিলেন একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে। সেখানে পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করে বিতর্কে জড়ালেন অভিনেতা তথা কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিন্হা। পাক প্রেসিডেন্টের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। যদিও শত্রুঘ্নের দাবি, তাঁরা রাজনৈতিক কোনও বিষয়ে আলোচনা করেননি।
পাকিস্তানের ব্যবসায়ী মিয়াঁ আসাদ আহসানের আমন্ত্রণে তাঁর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লাহৌরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ এবং মন্ত্রী শত্রুঘ্ন। শনিবার রাজ্যপাল ভবনে আরিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এর পরেই প্রেসিডেন্টের দফতরের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ওই বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উপমহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে। এর পাশাপাশি পাক প্রেসিডেন্ট টুইট করে জানিয়েছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেন রদ হওয়ার পরে কাশ্মীর নিয়ে তাঁর উদ্বেগের সঙ্গেও সহমত পোষণ করেছেন শত্রুঘ্ন।
এর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। এ বার আরিফ আলভির এই মন্তব্যও শত্রুঘ্ন এবং কংগ্রেসেকে অস্বস্তিতে ফেলল বলেই মনে করছেন অনেকে। এই অস্বস্তি কাটাতে তৎপর হয়েছেন শত্রুঘ্ন। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, এটি নেহাতই ব্যক্তিগত সফর। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। পাক ব্যবসায়ীর আমন্ত্রণেই তিনি এখানে এসেছেন। ওই ব্যবসায়ী তাঁর বন্ধু। তাঁর আরও টুইট, ‘‘আমাদের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। আমার বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী, সমর্থক এবং অবশ্যই সংবাদমাধ্যমের বোঝা উচিত, উপযুক্ত, পদাধিকারী এবং সরকার প্রেরিত না হলে কেউ বিদেশের মাটিতে দেশের রাজনীতি এবং নীতি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না।’’
আরও পড়ুন: নকশি কাঁথায় স্পর্শ অস্ট্রেলিয়া থেকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy