হঠাৎ প্রবল বৃষ্টির পর ধেয়ে এসেছিল হড়পা বানের ভয়াল স্রোত। আর তাতেই কার্যত ভেসে গিয়েছে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একাধিক শহর, গ্রাম, জনপদও। শুধুমাত্র খাইবার পাখতুনখোয়াতেই ৩১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল প্রশাসন। আহতও ১৫৬ জন।
জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ায়। ত্রাণ পরিষেবা যাতে ভাল ভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছোয়, তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। তিনি নিজেও গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।
এই বিপর্যয়ের মধ্যেই আবার নতুন করে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পাকিস্তানে। সেখানকার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২১ অগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে পাক অধিকৃত কাশ্মীর, গিলগিট-বাল্টিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এতে উদ্ধারকাজ বাধা পেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হড়পা বানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি অংশ। এই প্রদেশের মালাকান্ড ডিভিশনের বুনের জেলার ডেপুটি কমিশনার কাশিফ কায়ুম জানাচ্ছেন, স্থানীয় পীরবাবা এবং মালিকপুরা গ্রাম দু’টির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তাঁর দাবি, বন্যার ঘটনায় এই দুই গ্রামে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
হঠাৎ বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকায় অবস্থিত মিঙ্গোরা শহরও। সেখানে কাদার স্রোতে আটকে গিয়েছে দমকলের গাড়ি। জোরালো জলের তোড়ে এলাকায় থাকা ছোট গাড়িগুলি ভেসে গিয়ে আটকে গিয়েছে কারও বাড়ির দেওয়ালে, কোনওটি আবার বিদ্যুতের খুঁটিতে। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে একাধিক শহর তথা জনপদে পৌঁছোনোর রাস্তাও। ফলে বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছতেই কঠিন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে।