E-Paper

জামাত-এনসিপি দ্বন্দ্বে কি নয়া অঙ্কের ইঙ্গিত

বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে জামাত ও এনসিপি-র মতের মিল দেখা যাচ্ছিল। ফলে তাদের রাজনৈতিক জোট হিসেবেও মনে করা হচ্ছিল।

অনির্বাণ দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৩৭

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সমাজমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পোস্ট ঘিরে চর্চা শুরু বাংলাদেশে। জামায়াতে ইসলামীকে নিশানা করে তাঁর পোস্ট কি নতুন সমীকরণের আভাস দিচ্ছে— এমনই প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। তাঁদের অধিকাংশের মতে, জুলাই সনদ এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) নির্বাচনের দাবি নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপি-র বিরোধ দু’দলের সম্পর্কের ফাটলকে ক্রমশ চওড়া করছে।

বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে জামাত ও এনসিপি-র মতের মিল দেখা যাচ্ছিল। ফলে তাদের রাজনৈতিক জোট হিসেবেও মনে করা হচ্ছিল। আচমকাই তাল কাটে জুলাই সনদে সই করা না করা নিয়ে। সূত্রের খবর, এনসিপি নেতৃত্ব ধরে নিয়েছিলেন, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেলে জামাত জুলাই সনদে সই করবে না। সই না করার ব্যাপারে এনসিপি অনড় থাকলেও জামাত সিদ্ধান্ত বদল করে সনদে স্বাক্ষর করে। তাতেই বেজায় চটেছেন নাহিদ, সারজিস আলমেরা।

এনসিপির শীর্ষ সূত্রের খবর, তারা চায় এই জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন ও সামগ্রিক রাজনীতি পরিচালিত হবে। জামাতও তাদের সঙ্গে থাকবে বলেই ধারণা ছিল এনসিপি-র। কিন্তু তা না-হওয়ায় এনসিপি মনে করছে, জামাত ‘বিশ্বাসভঙ্গ’ করেছে। দুই দলের এই টানাপড়েন ‘আগুনে ঘি’ ঢালার কাজ করে নাহিদের ফেসবুক পোস্ট। এ দিন ফেসবুক পেজে জামাতকে নিশানা করেছেন এনসিপি-র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারি। লিখেছেন, ‘প্রশাসনে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ, বিভাজনের রাজনীতি বা ধর্মের নামে রাষ্ট্র দখলের চেষ্টা এই মাটিতে আর সফল হবে না। যে মাটিতে শহিদদের রক্ত মিশে, যে আকাশে মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থানের আহ্বান ধ্বনিত হয়েছিল, সেই বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি কখনওই স্থান পাবে না’।

স্বাভাবিক ভাবেই নাহিদের বক্তব্যকে ভাল ভাবে নেয়নি জামাত। তাদের মতে, কোনও দলের ব্যাপারে অন্য দলের শিষ্টাচার বজায় রেখে মন্তব্য করা উচিত। দলের ঢাকা দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন বলেন, ‘‘এনসিপি-র কথায় জামাত চলবে না। জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি তারা। আমরা সনদে সই করেছি ঠিকই, কিন্তু এটাও বলেছি এর আইনি ভিত্তি না দিলে নির্বাচন নয়।’’

সূত্রের খবর, এনসিপি-জামাত টানাপড়েনে নয়া রাজনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-র সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতায় যেতে পারে এনসিপি— এমন চর্চাও চলছে। তবে অন্য একটি সূত্রের মতে অবশ্য, বিএনপি-র সঙ্গে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি তুলতে পারেন এনসিপি-র বামমনস্ক নেতারা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangladesh jamat NCP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy