Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কেন বাতিল ‘ডাকা’? প্রতিবাদ নাদেল্লাদের

গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেন ট্রাম্প। ‘ডাকা’ বাতিল হওয়ায় যাঁদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে, তাঁদের অনেকে নানা মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে সরব সিলিকন ভ্যালি।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।— ফাইল চিত্র।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।— ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৫
Share: Save:

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ডাকা’ প্রকল্প (ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস) বাতিল করায় উত্তাল সিলিকন ভ্যালি। মাইক্রোসফট-এর সিইও সত্য নাদেল্লার মতো তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ার বড় বড় মাথারা একযোগে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তা ছাড়া, বুধবার ক্যালিফোর্নিয়া-সহ দেশের ১৫টি প্রদেশ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। এই সব প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলরা জানিয়েছেন, ‘ড্রিমার্সের’ স্বার্থ রক্ষায় আইনের পথে লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

২০১২-য় প্রকল্পটি চালু করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আইনের ফাঁক গলে যে সব নাবালক (বয়স ১৬-র নীচে) মা-বাবার সঙ্গে বা অন্য কোনও ভাবে আমেরিকায় এসে পড়েছে, তাদের বসবাস, পড়াশোনা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেন ওবামা।
প্রায় আট লক্ষ বেআইনি অভিবাসী (ড্রিমার্স), যাঁরা আমেরিকায় বড় হওয়ার ‘স্বপ্ন’ দেখেছিলেন, তাঁরা এখন জানেন না কী অপেক্ষা করছে। সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন কংগ্রেস।

গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেন ট্রাম্প। ‘ডাকা’ বাতিল হওয়ায় যাঁদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে, তাঁদের অনেকে নানা মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে সরব সিলিকন ভ্যালি।

‘ডাকা’ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে ট্রাম্প প্রশাসনকে লেখা চিঠিতে সই করেছেন মাইক্রোসফট-এর সিইও সত্য নাদেল্লা থেকে শুরু করে অ্যাপলের টিম কুক, গুগলের সুন্দর পিচাই, ফেসবুকের মার্ক জুকেরবার্গ, টুইটারের জ্যাক ডর্সে এবং আরও অনেকে। এঁদের কেউ কেউ নিজের মত জানানোর জন্য সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিয়েছেন।

বিষয়টির সঙ্গে নিজেকে অন্য ভাবে তুলে ধরেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও সত্য নাদেল্লা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমার কাছে দু’টি বিষয় স্পষ্ট। সহিষ্ণুতা এবং মূল্যবোধ— এটাই আমেরিকাকে গড়ে তুলেছে। আমার গল্পটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে দুই মার্কিন নীতির ফসল। যখন বড় হচ্ছি, মার্কিন প্রযুক্তি আমায় স্বপ্ন দেখিয়েছে। তাদের উদার অভিবাসন নীতি সেই স্বপ্ন সফল করেছে। মার্কিন নাগরিকদের চাকরির সুযোগ অবশ্যই দিতে হবে। কিন্তু স্বচ্ছ অভিবাসন নীতিরও
প্রয়োজন। মাইক্রোসফটে এমন অনেক ‘ড্রিমার’ আছেন। তাদের পাশে আছি। মাইক্রোসফটে এটাই মূলগত ভিত্তি। আমার মনে হয়, আমেরিকারও। এই আমেরিকাকেই আমি চিনি।’’

টিম কুক তাঁর সংস্থায় এমন ২৫০ জন কর্মীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। সুন্দর পিচাইয়ের টুইট: ‘‘ওঁরা আমাদের প্রতিবেশী, বন্ধু, সহকর্মী। এখানেই ওঁদের ঘর। কংগ্রেস এ ব্যাপারে সক্রিয় হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE