এ বারের নোবেল শান্তি পুরস্কার পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে জোরদার বার্তা দিল। পুরস্কার প্রাপক সংগ্ঠনের লোগো হাতে নিয়ে নোবেল কমিটির প্রধান। ছবি: এএফপি।
পরমাণু অস্ত্রের তীব্র হুঙ্কারের বিরুদ্ধে বার্তা এ বার নোবেল কমিটিরও। পরমাণু অস্ত্র বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আইক্যান’ বা আইসিএএন পাচ্ছে ২০১৭ সালের শান্তির নোবেল, জানাল কমিটি। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপকের নাম শুক্রবারই ঘোষণা করা হয়েছে। পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা আচমকা যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সম্প্রতি, সে বিষয়ে নোবেল কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
নোবেল পাওয়ার কথা জানার পর উল্লাস আইক্যান শিবিরে। ছবি: রয়টার্স।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনস— আইক্যান বা আইসিএএন-এর পুরো নাম হল এই। ২০০৭ সালে, অর্থাৎ মাত্র বছর দশেক আগে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল আইসিএএন। এখন ১০০টিরও বেশি দেশে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। আইসিএএন কোনও অভিন্ন সংস্থা নয়, এটি আসলে অনেকগুলি অসরকারি সংস্থার জোট, যে সংস্থাগুলি পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধ এবং অবলুপ্তির লক্ষ্য নিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে তৃণমূল স্তরে কাজ করছে। আইসিএএন-এর তরফেই নিজেদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়। উত্তর কোরিয়া যখন প্রায় রোজ পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে এবং আমেরিকা তার প্রতিক্রিয়ায় যখন উত্তর কোরিয়াকে মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়ার হুঙ্কার ছাড়ছে, সেই সময়ে পরমাণু অস্ত্র বিরোধী একটি সংগঠনকে শান্তির নোবেল দেওয়া বিশেষ বার্তাবহ।
আরও পড়ুন: সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জিতেও মুকুট হারিয়েছেন যাঁরা
আরও পড়ুন: সান্তা ক্লজের সমাধি আবিষ্কার তুরস্কে
‘‘দীর্ঘ সময় পর আমরা আবার এমন একটা পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছি, যেখানে পরমাণু অস্ত্রের ঝুঁকি খুব বেড়ে গিয়েছে।’’ নোবেল শান্তি পুরস্কার-২০১৭ ঘোষণা করতে গিয়ে এই মন্তব্যই করা হয়েছে নোবেল কমিটির তরফে। পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ব জুড়ে জনমতকে জোরদার করতেই আইসিএএন-এর মতো সংগঠনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy