প্রতীকী ছবি
ঝড়জলের ভ্রুকুটি ছিল। তবে তা বাধা হয়নি শেষ পর্যন্ত। ঐতিহাসিক অভিযানের সবচেয়ে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপটির মসৃণ ভাবেই সমাধা হয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ঘুরে আসা নাসার দুই মহাকাশচারীকে গত কাল নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে এলন মাস্কের স্পেসএক্স। ৪টি প্যারাস্যুটের সাহায্যে গতি কমিয়ে গত কাল স্থানীয় সময় দুপুর দু’টো ৫৫ মিনিটে মেক্সিকো উপসাগরে নেমেছে ক্যাপস্যুল। তা থেকে সুস্থ ভাবেই বেরিয়ে এসেছেন ডগলাস হার্লি ও বব বেনকেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে অভিনন্দন-বার্তায় লিখেছেন, “দু’মাসের সফল অভিযানের পরে নাসার নভশ্চরদের পৃথিবীতে ফিরে আসাটা দারুণ ব্যাপার। সকলকে ধন্যবাদ!”
যদিও এটা সবে শুরু। নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্পেসএক্সের পরের মহাকাশ অভিযানটি শুরু হওয়ার কথা আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ। বেসরকারি উদ্যোগে এই দ্বিতীয় অভিযানকে বলা হচ্ছে ‘ক্রু-ওয়ান’। এ বারে যাবেন চার জন। নাসার তিন নভশ্চর। চতুর্থ জন জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি-র ‘মিশন স্পেশ্যালিস্ট’ সোইচি নোগুচি। এ বারের অভিযানটি দীর্ঘতর। চার অভিযাত্রী আইএসএস-এ যাবেন ছ’মাসের জন্য।
এর প্রস্তুতির পাশাপাশি আরও একটি কাজে এ বার হাত দেবে স্পেসএক্স। ২০১১ সালে ‘অবসর নিয়েছে’ নাসার মহাকাশ ফেরিযান এনডেভার। সেই যানটিকে ফ্লরিডায় স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন লেয়ার’ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ছ’সপ্তাহ ধরে এনডেভারের হাল-হকিকত পরীক্ষা করে দেখবে এলন মাস্কের সংস্থা। ভবিষ্যতে পৃথিবীর কাছাকাছি অর্থাৎ নিচু কক্ষপথের কোনও অভিযানের কাজে এটিকে ব্যবহার করা যায় কি না, তা পরীক্ষা করে দেখবে তারা। নাসা এর আগে তাদের এই এনডেভারেই সর্বশেষ মানুষ পাঠিয়েছে মহাকাশ স্টেশনে। তার পর থেকে মাথা পিছু ৮ কোটি ডলার দিয়ে অর্থাৎ চড়া দামে টিকিট কেটে রাশিয়ার রকেটে নিজেদের নভশ্চরকে পাঠাতে হচ্ছিল আমেরিকাকে। এলন মাস্ক সেই পর্বে আপাতত দাঁড়ি টেনে দিতে পেরেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy