শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। অলঙ্করণ: সনৎ সিংহ।
চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতীয় মুদ্রার ব্যবহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি, ভবিষ্যতে দু’দেশে অভিন্ন মুদ্রা চালুর বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না কলম্বো। শনিবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে অভিন্ন মুদ্রা হিসাবে ভারতীয় টাকা ব্যবহারের সম্ভাবনা আমরা খারিজ করে দিচ্ছি না।’’
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় মুদ্রার অভিন্ন ব্যবহারের প্রসঙ্গে আমাদের তরফে কোনও আপত্তি নেই।’’ চলতি মাসেই ভারত সফরে আসার কথা বিক্রমসঙ্ঘের। তার আগে তাঁর এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রীও ভারত সফরে এসে বণিকসভার একটি সম্মেলনে ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার ব্যবহার বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।
২০২২ সালে অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং তাঁর ভাই তথা সে দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এর পর পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বিক্রমসিঙ্ঘে। সে সময় শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলার জন্য মোট ৪০০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা) অর্থসাহায্য করেছিল ভারত।
যা নিয়ে প্রকাশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিক্রমসিঙ্ঘে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার আড়াই হাজার বছরের সম্পর্কের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আর্থিক মন্দার মোকাবিলায় অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ বার প্রধান লক্ষ্য ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy