Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জামিয়া-আমু নিয়ে বিদেশ থেকে বিপুল সমর্থন ছাত্র-বিক্ষোভে

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পুলিশি তাণ্ডবের’  নিন্দায় সরব হলেন দেশ-বিদেশের ১১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজারের বেশি শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, পড়ুয়া ও নাগরিক সমাজের লোকজন। 

—ফাইল ছবি

—ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৮
Share: Save:

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পুলিশি তাণ্ডবের’ নিন্দায় সরব হলেন দেশ-বিদেশের ১১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজারের বেশি শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, পড়ুয়া ও নাগরিক সমাজের লোকজন।

নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী বিল পাশ হতেই প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। তা থেকে ছড়ায় হিংসা। শান্তি ফেরানোর নামে পুলিশ যে ভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের পিটিয়েছে, তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গোটা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া-শিক্ষক এমনকি কর্তারাও। তাঁদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড, দিল্লি ইউনিভার্সিটি, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স, ইউসি বার্কলে, জেএনইউ, আইআইটি, আইএসআই, টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের মতো ১১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবিদ-শিক্ষক-ছাত্রেরা। এতে স্বাক্ষর রয়েছে রোমিলা থাপার, নোয়াম চমস্কি, জুডিথ বাটলার, নিবেদিতা মেনন, সুদীপ্ত কবিরাজ, বীণা দাস, উমা চক্রবর্তী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, হোমি ভাবা, শেলডন পোলক প্রমুখের।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের নিন্দাতেও মুখর হন বিশিষ্ট জনেরা। ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব যেমন বলেছেন, ‘‘বৈষম্যমূলক এই আইন হওয়ায় মুসলিমরা অপমানিত বোধ করছেন। তাঁদের, বিশেষত গরিবদের মধ্যে এই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে, এই আইন মূলত মুসলিম-বিরোধী। এবং ভবিষ্যতে তাঁরা বৈষম্য ও দমননীতির শিকার হবেন।’’ বাকি প্রতিবাদীদেরও অভিযোগ, দেশের সংবিধানে বলা ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ও সমতার অধিকার লঙ্ঘন করছে এই আইন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE