Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
টুইটারে ক্ষোভ সুষমার

দুই কিশোরীর অপহরণে তদন্ত চান ইমরান 

পাকিস্তানে দুই হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্মান্তরণের অভিযোগে সবর নয়াদিল্লি। আজ টুইট করে বিদেশমন্ত্রী

ইমরান খান ও সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।

ইমরান খান ও সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৪
Share: Save:

পাকিস্তানে দুই হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্মান্তরণের অভিযোগে সবর নয়াদিল্লি। আজ টুইট করে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানান, পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে তিনি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছেন। তার পরেই ক্ষুব্ধ পাক তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ হুসেন চৌধরির জবাব, এটা তাঁদের ‘অভ্যন্তরীণ’ ব্যাপার। তাঁরাই সমাধান করবেন। পাল্টা আক্রমণ করেছেন সুষমাও। বলেছেন, তিনি শুধু রিপোর্ট চেয়েছেন। আর তাতেই ঘাবড়ে গিয়েছেন পাক মন্ত্রী।

ফওয়াদ জানান, সিন্ধু প্রদেশে ওই দুই কিশোরীর ধর্মান্তরণের অভিযোগ নিয়ে আজ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না-ঘটে, তার জন্য সিন্ধু ও পঞ্জাব সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। এ সবের মধ্যেই সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে আজ টুইট-যুদ্ধ শুরু হয় দু’দেশের মন্ত্রীর। সুষমা রিপোর্ট চাওয়ার পরে পাক মন্ত্রী ফওয়াদ কটাক্ষ করে টুইট করেন, ‘‘মাননীয়া, এটা নরেন্দ্র মোদীর ভারত নয়। যেখানে সংখ্যালঘুদের প্রতি পদে আক্রমণ করা হয়। এটা ইমরান খানের নয়া পাকিস্তান। আশা করি ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়েও আপনি একই রকম উদ্বিগ্ন হবেন।’’ পাল্টা তোপ দেগে সুষমা বলেন, ‘‘আমি শুধু রিপোর্ট চেয়েছি। তাতেই ভয় পেয়ে গেলেন! এটাই প্রমাণ করে যে, আপনারা বিবেকের কাছে কতটা অপরাধী।’’

অভিযোগ, দুই বোন রবিনা (১৩) ও রিনা-কে (১৫) হোলির দিন ঘোটকি জেলায় তাদের বাড়ি থেকে অপহরণ করে ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তিদের একটি দল। তার পরে একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, মুসলিম মতে রবিনা ও রিনার বিয়ে দিচ্ছেন এক মৌলানা। অন্য একটি ভিডিয়োয় আবার দেখা যায়, স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম

গ্রহণ করার কথা বলছে দু’জন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিশ।

গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময়ে ইমরান খান আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানি হিন্দুদের মতের বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে ধর্মান্তরণ বন্ধ করবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সে বছরেই গো-তাণ্ডবের বিরুদ্ধে মুখ খুলে অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছিলেন, ভারতে ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা হয় তাঁর। সেই সময়ে ইমরান খান বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী রকম ব্যবহার করতে হয়, তা তিনি ভারতকে দেখিয়ে দিতে চান। সেই প্রতিশ্রুতির কথা পাক প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারী হিন্দুরা। ২০১৬ সালে বলপূর্বক ধর্মান্তরণ বিরোধী বিল আনা হয়েছিল সিন্ধু প্রদেশের আইনসভায়। সর্বসম্মতিক্রমে তা পাশও হয়ে যায়। কিন্তু কট্টরপন্থীদের জন্য পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। ফের জরুরি ভিত্তিতে সেই আইন পাশ করানোর দাবিও উঠেছে।

সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE