Advertisement
E-Paper

বিদ্রোহী হামলায় পতনের মুখে সিরিয়ার আরও এক শহর, আসাদকে সাহায্য করতে গেল ইরানের বাহিনী

গত কয়েক মাসে ইজ়রায়েলি বিমানহানায় সিরিরার প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই দামাস্কাস রক্ষার জন্য তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৯
Syria opposition fighters push towards Hama, Irani deploy militias to back Bashar al-Assad government

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। —ফাইল ছবি।

মাত্র তিন দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখলের পরে এ বার আর এক জনপদ হামা দখলের জন্য অগ্রসর হচ্ছে দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনাদের সাহায্য করতে মিলিশিয়া বাহিনী পাঠাল প্রতিবেশী ইরান।

ইরাক থেকে শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীও সিরিয়া সেনার সাহায্যে সীমান্ত পেরিয়েছে বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইরানের বাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ায় ঢুকে পড়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েসকিয়ানের দফতর সরাসরি বাহিনী পাঠানোর কথা না বললেও আসাদকে সামরিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। অন্য দিকে, আসাদের সমর্থনে ময়দানে নেমেছে রুশ সেনাও। প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিমানবহর সোমবার এইচটিএস-এর অগ্রবর্তী বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে। এরই মধ্যে রবিবার ইদলিব প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর মারাত আল নুমান দখল করেছে বিদ্রোহীরা।

এইচটিএস-এর আগে নাম ছিল নুসরা ফ্রন্ট। আমেরিকা, রাশিয়া -সহ আরও বেশ কিছু দেশ এদের জঙ্গি গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত করেছে। তুরস্কের মদতেপুষ্ট আসাদ-বিরোধী বাহিনী সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) ভেঙেই তৈরি হয়েছে এই গোষ্ঠী। অন্য দিকে, ‘জইশ আল-ইজ্জা’র সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের। বছর আটেক আগে এসএনএ-র হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন আসাদ। সে সময় রুশ সেনার পাশাপাশি তাঁর গদিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল লেবাননে সক্রিয় ইরানের মদতপুষ্ট শিয়া গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা এবং তাদের সহযোগী ইরানের মিলিশিয়া বাহিনী ইমাম হুসেন ব্রিগেডে।

গত কয়েক মাসের ধারাবাহিক ইজ়রায়েলি হানায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হিজ়বুল্লা। ইমাম হুসেন ব্রিগেডের বড় অংশও লেবাননে ঘাঁটি গেড়ে ইজ়রায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে ব্যস্ত। তাই সুবিধা হয়েছে আসাদ-বিরোধী জোটের। প্রসঙ্গত, গত ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। সেখানে যুযুধান বেশ কয়েকটি পক্ষ। ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়েছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে নেটো বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, গত কয়েক মাসে ইজ়রায়েলি বিমানহানায় আসাদ বাহিনীর অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই দামাস্কাস রক্ষার জন্য তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।

Israel-Hamas Conflict Hamas Israel war Syria Attack israel hamas Syria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy