প্রতীকী ছবি।
আমেরিকার দাবি, তালিবান এবং আল কায়দার মধ্যে যোগাযোগে ইতি টেনেছে গত ফেব্রুয়ারির শান্তিচুক্তি। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক রিপোর্ট স্পষ্ট জানাল, আফগানিস্তানে ৪০০-৬০০ সশস্ত্র আল কায়দা জঙ্গি রয়েছে। তালিবানের হক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে তাদের। আল কায়দার সঙ্গে গোপনে আলোচনা করেই আমেরিকার সঙ্গে শান্তিচুক্তি নিয়ে প্রতিটি ধাপ এগিয়েছে তালিবান। এতে ভারতের অবস্থানই সত্যি প্রমাণিত হল বলে দাবি বিদেশ মন্ত্রকের।
আমেরিকার পক্ষ থেকে সম্প্রতি নয়াদিল্লির উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল, যাতে ভারত তালিবানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় যোগ দেয়। কিন্তু এটি ভারতের নীতিবিরুদ্ধ বলে এত দিন বিষয়টি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার।
তালিবানকে এখনও সন্ত্রাসবাদী মঞ্চ বলেই মনে করে সাউথ ব্লক। নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টেও তা উঠে আসায় আপাতত তালিবানের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নটিই আর উঠবে না বলে মনে করছে সাউথ ব্লক।
বিদেশ মন্ত্রকের মতে, এই রিপোর্ট আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের ভূমিকাটিও ফের সামনে এনে দিয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবের বক্তব্য, “রাষ্ট্রপুঞ্জের জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় থাকা আল কায়দা ও তার সঙ্গীদের আফগানিস্তানে থাকার রিপোর্টটি খুবই উদ্বেগজনক। আমরা জানি, ৬৫০০ পাকিস্তানি সেখানকার মাটিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আল কায়দা ছাড়াও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy