নিথর: বিস্ফোরণস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জালালাবাদে আত্মঘাতী হামলায় নিহত এক ব্যক্তির দেহ। বুধবার জাতীয় রেডিও এবং টেলিভিশন স্টেশনের বাইরে। ছবি: এএফপি।
জঙ্গি হামলার বহু খবর করেছেন তাঁরা। এ বার জঙ্গি হামলার শিকার সেই সাংবাদিকরাই।
আফগানিস্তানে জঙ্গিদের নিশানায় এ বার জাতীয় রেডিও এবং টেলিভিশন স্টেশন। বুধবার সকালে ননগরহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের ‘রেডিও টেলিভিশন আফগানিস্তান’ (আরটিএ)-এর দফতরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন টিভি ও রেডিও স্টেশনের পাঁচ কর্মী ও এক পুলিশ। জখম হয়েছেন ১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশ কয়েক জন সাংবাদিক। নিহত হয়েছে চার জঙ্গিও। হামলার দায় নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। গত বছরেই আফগানিস্তানে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ১৩ জন সাংবাদিকের। তাঁদের মধ্যে দশ জনই তালিবান হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
সকালে তখন আস্তে আস্তে জেগে উঠছে জালালাবাদ। আচমকা গোলাগুলির শব্দ ভেসে এল আরটিএ থেকে। সেই সঙ্গে বিস্ফোরণ। এক চিত্রসাংবাদিক ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে এসে বলেন, ‘‘আরটিএ-তে জঙ্গি হামলা হয়েছে। আমি কোনও রকমে পালিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু আমার বহু সহকর্মী আটকে রয়েছেন।’’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন সকালে চার জন জন জঙ্গি আরটিএ-তে ঢুকে পড়ে। প্রথমেই দু’জন জঙ্গি নিজেদের উড়িয়ে দেয়। আর বাকি দু’জন এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ভিতরে তখন বহু সাংবাদিক ও কর্মী। গোটা স্টেশন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন আরটিএ-র এক নিরাপত্তারক্ষী। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় দুই জঙ্গিও। গুলিতে জখম ১৪ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অবশ্য ৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ননগরহার প্রদেশ বরাবরই আইএস-এর শক্ত ঘাঁটি। সেই সঙ্গে এই প্রদেশে সক্রিয় তালিবানও। সম্প্রতি পূর্ব আফগানিস্তানে বিশালাকায় ‘মাদার অব অল বম্বস’ ফেলেছে আমেরিকা। পেন্টাগনের দাবি, আইএস ঘাঁটি ধ্বংস করতেই এই বোমা ফেলা হয়েছে। কিন্তু মার্কিন এই পদেক্ষেপের পরেও আইএস যে দমে যায়নি, এ দিনের আরটিএ-তে জঙ্গি হামলায় তার প্রমাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy