জঙ্গিদের কাছে অনৈতিক উপায়ে টাকা যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাকিস্তানের নাম না-করেই ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল আন্তর্জাতিক নজরদার সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে দীর্ঘ দিন ধরে ধূসর তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল এফএটিএফ। ২০২২ সালে ওই তালিকা থেকে মুক্ত করা হয় পাকিস্তানকে। তার পরেও এই সংক্রান্ত নজরদারি থেকে তারা মুক্ত নয় বলে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট এলিসা ডে আন্দা মাদ্রাজ়ো।
সম্প্রতি ফ্রান্সে এফএটিএফ-এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন (প্লেনারি সেশন) বসেছিল। ওই অধিবেশনের পরে সাংবাদিক বৈঠকে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট বলেন, “ধূসর তালিকায় থাকা কোনও দেশেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্ছিদ্র নয়, তা সে আর্থিক তছরুপকারীই হোক বা সন্ত্রাসবাদী।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা সব পক্ষকে, এমনকি যাঁরা এখন (ধূসর) তালিকায় নেই, তাঁদেরও বলছি এই ধরনের অপরাধ রুখতে আপনারা ভাল কাজ জারি রাখুন।”
২০২২ সালে পাকিস্তান ধূসর তালিকার বাইরে বেরোতে পারলেও এখনও একাধিক সংস্থার নজরদারি রয়েছে দেশটির উপরে। তা ছাড়া পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভারত। তা ছাড়া এফএটিএফ-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জৈশ-এ-মহম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠী পাকিস্তানে ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের নাম না-করলেও নজরদার সংস্থার পর্যবেক্ষণকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এফএটিএফ-এর প্রধান এই প্রসঙ্গে বলেন, “তালিকামুক্ত হওয়া মানেই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়া নয়। আমরা বিশ্বাস রাখি যে, অপরাধীরা সুযোগ নিতে পারে, এমন খুঁতগুলি শনাক্ত করে দেশগুলি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।