ভারতের অপারেশন সিঁদুরের জেরে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ সীমান্তে ব্যস্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সেই সুযোগে দেশের পশ্চিমে নিজেদের ঘাঁটি আরও শক্তপোক্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বালোচ বিদ্রোহীরা। আজ প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার কয়েকটি সরকারি ভবনে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা নামিয়ে বালোচ বিদ্রোহীদের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তান থেকে পৃথক একটি রাষ্ট্র এবং নয়াদিল্লিতে বালুচিস্তানের পৃথক দূতাবাসের দাবিতে ফের সরব হয়েছে বালোচ বিদ্রোহী সংগঠনগুলি।
কোয়েটা-সহ এই প্রদেশের বিভিন্ন এলাকার দখল নিয়ে নিয়েছে বালুচিস্তানের তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী— বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ), বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) এবং বালোচ রিপাবলিকান গার্ডস (বিআরজি)।
বহু বছর ধরে স্বাধীনতার দাবিতে লড়াই চালাচ্ছে বালুচিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীগুলি। পহেলগামের জঙ্গি হামলার পরে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির প্রশাসনিক ও সামরিক কর্তারা ভারতের সম্ভাব্য প্রত্যাঘাতের মোকাবিলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে বালুচিস্তানে বিভিন্ন পাক সেনা ঘাঁটির উপরে জোরদার হামলা চালাতে শুরু করেছে বিএলএ, বিএলএফ এবং বিআরজি। আজ কোয়েটার ফৈজ়াবাদের পাক সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় বিএলএ। সিব্বিতে একটি সেনাঘাঁটির উপরেও হামলা চালায় তারা। হামলা হয়েছে কেচ, মাসতুং ও কাচিতেও। বালুচিস্তানের রেডিয়ো জ়্রুমবেশ জানায়, সারা দিন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে কোয়েটা ও তার চারপাশের এলাকা থেকে। কাটগানে সেনাবাহিনীর উপরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিএলএ-র এক্স হ্যান্ডল থেকে।
দিন কয়েক আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শহিদ খক্কন আব্বাসি বলেছিলেন, বালুচিস্তানের নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছে পাক প্রশাসন ও সেনা। এই পরিস্থিতির জন্য বর্তমান সেনাপ্রধান আসিফ মুনিরের সমালোচনাও করেছিলেন আব্বাসি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)