Advertisement
E-Paper

মানুষের কাজ করেছি, হাসপাতালে শুয়ে বললেন গুলিবিদ্ধ মার্কিন যুবক

বাঁচাতে গিয়েছিলেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারকে। পারেননি। কিন্তু গুলিবৃষ্টির মুখে দাঁড়িয়ে আততায়ীকে নিরস্ত করার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে কার্যত ‘হিরো’ হয়ে গিয়েছেন ২৪ বছরের মার্কিন যুবক ইয়ান গ্রিলট।বুকে আর হাতে গুলির ক্ষত-চিহ্ন নিয়ে যিনি এখন শুয়ে রয়েছেন হাসপাতালের বেডে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৬:২৪
হাসপাতালের বেডে সেই ইয়ান গ্রিলট।

হাসপাতালের বেডে সেই ইয়ান গ্রিলট।

অ্যাডাম পুরিনটনও মার্কিন। ইয়ান গ্রিলটও আমেরিকান।

এক জন মদ্যপ অবস্থায় বারে নির্বিচারে গুলি চালানোয় প্রাণ হারিয়েছেন এক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার।অন্য জন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শুয়ে রয়েছেন হাসপাতালের বেডে।

গুলিবৃষ্টির মুখে দাঁড়িয়ে আততায়ীকে নিরস্ত করার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে কার্যত ‘হিরো’ হয়ে গিয়েছেন ২৪ বছরের মার্কিন যুবক ইয়ান গ্রিলট। বুকে আর হাতে গুলির ক্ষত-চিহ্ন নিয়ে যিনি এখন শুয়ে রয়েছেন হাসপাতালের বেডে।

কানসাসের ওলেথে একটি বারে মদ্যপ প্রাক্তন নৌসেনা অ্যাডাম পুরিনটন যখন উল্টো দিকের টেবিলে বসা হায়দরাবাদের দুই ইঞ্জিনিয়ারকে ভারতীয় বলে গালাগাল দিতে বন্দুক বাগিয়ে ধরেছিলেন, তখন প্রথমেই তাঁকে বাধা দিতে গিয়েছিলেন ইয়ান। ‘হচ্ছেটা কী? এ সব ছাড়ো’ বলে ইয়ান থামাতে গিয়েছিলেন পুরিনটনকে। কিন্তু হায়দরাবাদের দুই ইঞ্জিনিয়ার অলোক মাদাসানি ও শ্রীনিবাস কুচিভোটিয়াকে ‘গেট আউট’ বলতে বলতে মুহূর্তের মধ্যেই গুলি চালাতে শুরু করে দেন পুরিনটন। সেই সময় হাত বাড়িয়ে পুরিনটনের হাত থেকে বন্দুকটা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ইয়ান।

আরও পড়ুন- মন্দিরে সোনার গোঁফ ভেট দিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী

হাসপাতালের বেডে শুয়ে শনিবার ইয়ান বলেছেন, ‘‘এই অবস্থায় যা করা উচিত, আমি সেটাই করেছিলাম। কে কোথা থেকে এসেছেন, তিনি কোন জাত বা কোন দেশের, এটার ওপর সেই মানুষটির বিচার হয় না। আমরা সবাই মানুষ। পুরিনটনকে ওই ভাবে আচমকা গুলি চালাতে দেখে প্রথমে নিজেকে বাঁচাতে আমি একটা টেবিলের নীচে ঢুকে পড়েছিলাম। একটা সময় ভাবলাম, হয়তো ওর ম্যাগাজিনের সবক’টি গুলি শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই ভেবে টেবিলের নীচ থেকে বেরতেই দেখলাম ও আরও গুলি ছুড়ছে। সেই সময় ওকে থামাতে যাই। তখন ও আমাকে গুলি করে। আমার বুকে, হাত গুলি লাগে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরে হাসপাতালে। পরে জানতে পারি, ওই ঘটনায় যে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে, তাঁর বুকে, গলায় ও হাতে মোট ৯টি বুলেট ঢুকেছিল। আমি খুবই বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছি। যে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার ওই ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন, তিনি আজ আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন হাসপাতালে। বললেন, ওঁর স্ত্রী ৫ মাসের সন্তানসম্ভবা।’’ এই অলোকের সঙ্গেই কানসাসের ওই বারে গিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী শ্রীনিবাস কুচিভোটিয়া। তিনি ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেই কাজ করতেন মার্কিন বহুজাতিক ‘গার্মিন’-এর ‘এভিয়েশন’ বিভাগে।

পুরিনটনকে পরে মিসৌরির অন্য একটি বার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Kansas US Shooting in US
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy