তখন হাইস্কুলে পড়তেন গেভিন গ্রিম। হঠাৎই এক দিন তাঁকে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ছেলেদের রেস্টরুম ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি। কারণ, তিনি রূপান্তরকামী। স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন গেভিন। সেই মামলা সাড়া ফেলে আমেরিকায়। সেই মামলা এক সময়ে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়। ভার্জিনিয়ার যে স্কুল তাঁর লিঙ্গ-পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তারা স্কুলের ‘নিয়ম’ বদলাতে বাধ্য হয়েছিল।
সম্প্রতি একই রকম একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট, মানুষের মনের গভীরে জমে রয়েছে বৈষম্যের বীজ। গ্লসেস্টার তার অন্যতম উদাহরণ। চেসাপিক বে কমিউনিটির বাসিন্দাদের একাংশের মতে, রূপান্তরকামী পড়ুয়ারা বরাবরই স্কুলগুলোতে বৈষম্যের শিকার হয়। এই নিয়মের বদল হলে সমানাধিকারের দিকে এক পা এগোবে রূপান্তরকামী পড়ুয়ারা। আর এক দলের বক্তব্য, এ রকম নিয়ম হলে অন্য পড়ুয়াদের গোপনীয়তা ভাঙা হবে। তা ছাড়া ধর্মীয় ভাবাবেগেও আঘাতের প্রশ্নও তুলছে তারা। দ্বিতীয় দলটাই ভোটে এগিয়ে। আদালতের কক্ষে উপচে পড়া ভিড়ের বড় অংশই স্কুলের বর্তমান নিয়মকে সমর্থন জানায়। পেটসওয়ার্থ ব্যাপ্টিস্ট চার্চের প্যাস্টরের মতে, রূপান্তরকামী পড়ুয়াদের জন্য আলাদা রেস্টরুমের ব্যবস্থা করাই শ্রেয়। তাতে সবারই ব্যক্তিপরিসরের অধিকার রক্ষা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করা স্কুলগুলোর দায়িত্ব নয়। বর্তমান নিয়ম (রূপান্তরকামী পড়ুয়াদের জন্যেও) যথেষ্ট নিরাপদ। আমার ১৬ বছরের মেয়ের জন্যেও।’’ এ অবস্থায় ‘গ্লসেস্টার কাউন্টি স্কুল বোর্ড’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই মুহূর্তে নিয়ম বদলানোর প্রশ্ন নেই। এ নিয়ে কবে তারা আবার আলোচনায় বসবে, আদৌ পদক্ষেপ করবে কি না, জানাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
গ্রিম বলেন, ‘‘লিঙ্গ অনুযায়ী এ ভাবে রেস্টরুম আলাদা করে দেওয়া ভয়ানক। সমান বা সম্পূর্ণ অধিকার না পাওয়া ভীষণ অপমানজনক। এ সবের জন্যই রূপান্তরকামী সমাজকে মানুষের ঘৃণা সহ্য করতে হয়। আপনারা কি চান, স্কুলগুলো ঘৃণার আঁতুরঘর হয়ে উঠুক।’’ এখন ক্যালিফর্নিয়া পড়াশোনা করছে গ্রিম। জানালেন, বড় হয়ে শিক্ষক হতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy