এক জন বলছেন ভুল অভিবাসন নীতির ফলে দলে দলে সম্ভাব্য জঙ্গি এসে ঢুকছে আমেরিকায়। তিনি মার্কিন মুসলিম সম্প্রদায়কে বিশ্বাস করতেই নারাজ। তাঁকে জবাব দিতে গিয়ে অন্য দু’জন বলছেন আমেরিকায় মুসলিমদের ঢোকা বন্ধ করার কথা বললে গণতন্ত্রের বিরোধিতা করা হবে। পুরো মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরে দোষ চাপিয়ে দিলে আমেরিকারই বিপদ বাড়বে। বরং তাঁদের সাহায্য নিয়েই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় গণহত্যার পরে মুসলিম মৌলবাদী জঙ্গিদের নিয়ে এ ভাবেই জমে উঠেছে দুই সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের তরজা।
অরল্যান্ডোর ঘটনার পর থেকেই মুসলিম-বিরোধী প্রচারের সুর চড়িয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ দিন নিউ হ্যাম্পশায়ারের ম্যানচেস্টারের সভায় কার্যত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সব রীতিই হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজনীতিকদের মতে, এখন মার্কিন ভোটারদের মধ্যে জঙ্গিদের ভয়ই প্রধান বিষয় বলে মনে করছেন ট্রাম্প। তাই মার্কিন বহুত্ববাদ আর রীতিনীতি নিয়ে আর মাথা ঘামাচ্ছেন না তিনি।
বক্তৃতার শুরুতে অবশ্য মুসলিম জঙ্গি আর মূলধারার মুসলিমদের মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু তার পরেই সরাসরি আক্রমণে নেমেছেন তিনি। রিপাবলিকান সম্ভাব্য প্রার্থীর মতে, পুরোপুরি ভুল অভিবাসন নীতি নিয়ে চলছে আমেরিকা। তার ফলে দলে দলে সম্ভাব্য জেহাদি ঢুকছে আমেরিকায়। এ কথা বলতে গিয়ে ২০১৩ সালের বস্টন ম্যারাথনে চেচেন বংশোদ্ভূতদের হামলা ও মিনেসোটার সোমালি সম্প্রদায়ের মধ্যে মুসলিম মৌলবাদ ছড়ানোর নজির টেনে এনেছেন তিনি।