Advertisement
E-Paper

হিলারির উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য, ফের বিতর্কে ট্রাম্প

আবার কোনও মহিলা। এবং আবারও অশ্লীল ও কুরুচিকর মন্তব্য। মহিলাদের উদ্দেশে করে ফের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। সেই ‘হিরো’ কে জানেন? আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৪০

আবার কোনও মহিলা।

এবং আবারও অশ্লীল ও কুরুচিকর মন্তব্য। মহিলাদের উদ্দেশে করে ফের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি।

সেই ‘হিরো’ কে জানেন?

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ বার ট্রাম্পের অশ্লীল মন্তব্যের লক্ষ্য ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকা হিলারি ক্লিন্টন।

কী বলেছেন ট্রাম্প?

গত বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থেকেও হিলারি শেষমেশ মনোনয়ন পাননি। দৌড়ে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তারই প্রেক্ষিতে হিলারিকে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ওঁকে (হিলারি) দলের মনোনয়ন পাওয়ানোর জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ উনি একটি পুরুষাঙ্গ (‘স্কলঙ্গড্‌’) পেয়েছিলেন। উনি হেরে গিয়েছিলেন। মানে, বলতে চাইছি, উনি ল্যাজে-গোবরে হয়েছিলেন।’’

মঙ্গলবার মিশিগানে রিপাবলিকান পার্টির এক কর্মী-সমাবেশে ওই অশ্লীল মন্তব্যটি করেন ট্রাম্প।

অশ্লীল মন্তব্য ও বিশেষ করে, মহিলাদের প্রতি অশ্লীল মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকে যথেষ্ট কুখ্যাতি কুড়িয়েছেন ট্রাম্প। এমনকী, রিপাবলিকান পার্টির কর্মীদের একটি বড় অংশও এ ব্যাপারে প্রকাশ্যেই তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

হিলারিকে লক্ষ করে ট্রাম্পের অশ্লীল মন্তব্য অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা অছিলায় হিলারিকে লক্ষ করে অশ্লীল, কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

গত ১৯ ডিসেম্বর একটি টেলিভিশন-বিতর্ক চলার সময়ে একটা ছোট্ট ‘ব্রেক’ নিয়ে হিলারি বাথরুমে গিয়েছিলেন। ব্যস, আর যায় কোথা! মুখের বাঁধন খুলে গিয়েছিল মার্কিন ধনকুবের ট্রাম্পের।

ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি, উনি (হিলারি) কোথায় গিয়েছেন। ডিসগাস্টিং! ভীষণ, ভীষণ ডিসগাস্টিং! কখন, কোথায় যেতে হয়, জানে না! আমাকে এ নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না। গা ঘিনঘিন করে।’’

হিলারি অবশ্য পাল্টা বোমা ফাটাননি। আইওয়ায় এক স্কুল-ছাত্রীর চাপাচাপিতে হিলারি শেষমেশ এই টুকুই বলেছিলেন, ‘‘সব কথার জবাব দেওয়াটা আমেরিকানদের অভ্যাস নয়। কোনও কোনও কথা এ-কান দিয়ে শুনে ও-কান দিয়ে বার করে দিতে হয়। না হলে সময় নষ্ট হয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না।’’

মার্কিন ভোটাররা অবশ্য এ ব্যাপারে হিলারির মতো অতটা সহিষ্ণু হতে চান না। ট্রাম্পের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের পর ‘কুইনিপ্যাক’-এর নেওয়া একটি মতামত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৫০ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে তাঁরা যথেষ্টই ‘বিব্রত’ বোধ করবেন। মাত্র ২৩ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, তাঁরা গর্ব বোধ করবেন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে।

সম্ভবত, তারই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প পরে ফেসবুক ও টুইটারে জানিয়েছেন, এ সব তিনি বলেননি। ‘‘এ সব মিডিয়ার বাড়াবাড়ি।’’ তিন বার বিবাহিত ট্রাম্প শুধুই যে বার বার মহিলাদের সম্পর্কে অশ্লীল ও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তা-ই নয়, মন্তব্যের সময় অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করেছেন।

গত অগস্টে তাঁর অশ্লীল মন্তব্যের ‘শিকার’ হয়েছিলেন ফক্স নিউজের অ্যাঙ্কর মেগিন কেলি। এক সাক্ষাৎকারে কেলি তাঁকে কড়া কড়া প্রশ্ন করেছিলেন। রেগেমেগে ট্রাম্পের মন্তব্য ছিল, ‘‘আপনার বোধ হয় এখন ঋতুস্রাব চলছে। তাই অত খিটখিটে হয়ে গিয়েছেন।’’

আরও আছে।

যেমন রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকা কার্লি ফিওরিনা। যে মহিলা সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য ছিল, ‘‘ওর মুখটা দেখেছ? ওই মুখ দেখে কেউ ভোট দেয়?’’

hillary clinton us donald trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy