Advertisement
E-Paper

ন্যান্সির সফর বাতিল, ট্রাম্প কি ঠান্ডা যুদ্ধে!

টানা ২৭ দিন শাটডাউনে অচল ওয়াশিংটন। কাজ থমকে হোয়াইট হাউসেও। তাই এই মুহূর্তে দেশ ছাড়া যাবে না বলে, শেষ মুহূর্তে হাউসের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসির বিদেশ সফর বাতিল করে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৪

টানা ২৭ দিন শাটডাউনে অচল ওয়াশিংটন। কাজ থমকে হোয়াইট হাউসেও। তাই এই মুহূর্তে দেশ ছাড়া যাবে না বলে, শেষ মুহূর্তে হাউসের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসির বিদেশ সফর বাতিল করে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দিন সাতেকের সফরে গত কাল ব্রাসেলস হয়ে আফগানিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল ন্যান্সির। ক্যাপিটল হিল থেকে সেই মতো বিকেলে তিনি বায়ুসেনার বাসে চড়ে যাচ্ছিলেন মেরিল্যান্ড বিমানঘাঁটির দিকে। হঠাৎ পত্রাঘাত এল ওভাল অফিস থেকে।

প্রেসিডেন্ট লিখলেন, ‘‘শাটডাউনের জেরে ৮ লক্ষ সরকারি কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। অচলাবস্থা কাটাতে এখন বৈঠক জরুরি। এই অবস্থায়, আপনি কোনও ভাবেই বায়ুসেনার বিমানে চড়ে বিদেশ যেতে পারেন না।’’ পিছু হটতে বাধ্য হলেন ন্যান্সি। ফিরলেন ক্যাপিটল হিলে। যদিও এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে দেখা গেল বায়ুসেনার বিমানে চড়ে উড়ে যাচ্ছেন ফ্লরিডার দিকে। নিজেদের রিসর্টে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাতে!

ন্যান্সিকে লেখা প্রেসিডেন্টের ওই চিঠি টুইটারে শেয়ার করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স। ট্রাম্পের দাবি, দেশের এই সঙ্কটকালে বিদেশে ‘জনস‌ংযোগ’ বাড়ানোর চেয়ে ন্যান্সির ওয়াশিংটনে থেকে প্রাচীর সমস্যা সমাধান করাটা বেশি জরুরি। হোয়াইট হাউসের দাবি, এটা কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। বরং ট্রাম্প বুঝিয়ে দিলেন যে, শাটডাউন কাটাতে তিনি কতটা ‘আন্তরিক’।

কূটনীতিকদের একাংশ কিন্তু বলছেন, হাউসের স্পিকারের সঙ্গে এ বার ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গেল প্রেসিডেন্টের। সম্প্রতি ট্রাম্প নিজেই প্রাচীর নিয়ে এক বৈঠকে যোগ দিতে ন্যান্সিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না দেখে, টেবিল চাপড়ে মাঝপথে বেরিয়ে যান প্রেসিডেন্ট। জরুরি অবস্থা জারিরও হুমকি দেন। এত দিন সে ভাবে মুখ না খুললেও, কূটনীতিকদের দাবি— বুধবার এর পাল্টা মোক্ষম চাল দেন ন্যান্সি। ট্রাম্পকে চিঠি লিখে জানান, ২৯ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের নির্ধারিত ‘স্টেট অব ইউনিয়ন’ বক্তৃতা পিছিয়ে দিতে। হয় তিনি ওভাল অফিস থেকে লিখিত কিছু পাঠান, না হয় অচলাবস্থা কাটার অপেক্ষা করুন।

কাল ন্যান্সির বিদেশ সফরে বাগড়া দিয়ে ট্রাম্প তারই প্রতিশোধ নিলেন বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের প্রশ্ন— প্রেসিডেন্ট নিজেই তো শাটডাউনের মধ্যে গত বছরের শেষে ইরাক সফর করেছিলেন, তা হলে ডোমোক্র্যাট নেত্রীকে আটকানো হল কেন? আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনার মনোবল বাড়াতে ন্যান্সির সফরের আয়োজন করা হয়েছিল বলে দাবি ডেমোক্র্যাটদের। মাঝে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল তাঁর। এই সফরসূচিকে প্রেসিডেন্ট নিছক ‘জনসংযোগ’ বলাতেও শুরু হয়েছে সমালোচনা।

চিঠির একেবারে শেষ ট্রাম্প লেখেন, ন্যান্সি চাইলে বেসরকারি বিমান ভাড়া করে বিদেশ সফর করতেই পারেন। কিন্তু সেটা যে পরিস্থিতির বিচারে অনৈতিক হবে, তা-ও বলে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট।

কিন্তু মেলানিয়াকে কেন একই দিনে সেনা-বিমান ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রশাসন।হোয়াইট হাউস সূত্রের দাবি, প্রেসিডেন্ট নিজেও এই মুহূর্তে দেশ ছাড়তে চাইছেন না। সুইৎজ়ারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বৈঠকে যাবেন না বলে গত সপ্তাহেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এত দিন শোনা যাচ্ছিল, বিদেশসচিব, বাণিজ্যসচিবরা যাবেন। কাল রাতে হোয়াইট হাউস জানায়, দেশে অচলাবস্থার কথা মাথায় রেখে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সেই সফরও বাতিল করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

Nancy Pelosi Donald Trump ডোনাল্ড ট্রাম্প Foreign trip
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy