আসলে তাঁর বেতন বছরে চার লাখ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দু’কোটি ৭১ লক্ষ ২৬ হাজার। কিন্তু তিনি এর কিছুই নেবেন না। উল্টে তাঁর ঘোষণা, বছরে মাত্র এক ডলার বেতন নেবেন।
ফোর্বস পত্রিকার বিচারে দুনিয়ার ধনীতমদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ৩২৪-এ। রিয়েল এস্টেট, বিউটি পেজেন্ট, গল্ফ কোর্স-সহ বিভিন্ন ব্যবসা থেকে তাঁর আয় কোটি কোটি ডলার ছাপিয়েছে। তা সেই ধনকুবের ডোনান্ড ট্রাম্প যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তখন প্রশ্ন উঠেছিল, এর পর তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের কী হবে? তাঁর আয়ই বা কত হবে? এ বার সেই সব প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন ট্রাম্প। জানালেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বছরে মাত্র এক ডলার বেতনের কথা। পাশাপাশি, দেশের কাজে ব্যস্ত থাকায় ছুটি কাটানোতেও আপত্তি জানিয়েছেন ট্রাম্প। গত সপ্তাহে হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর রবিবার তাঁর প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত অক্টোবরে নির্বাচনী জনসভায় কথা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হলে মাত্র এক ডলার বেতন নেবেন তিনি। ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’-এর দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেতন আসলে কত তা তিনি জানতেন না। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, আইন অনুযায়ী, বছরে এক ডলার বেতন আমাকে নিতেই হবে। ফলে আমি তা-ই নেব।”
নিজের ব্যবসার হাল ধরা নিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের কাজে ব্যস্ত থাকায় নিজের ব্যবসার দেখাশোনা করার থেকেও ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেবেন তিনি। তাঁর ছেলেরাই ব্যবসার দেখাশোনা করবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমাদের এখনও অনেক কাজ বাকি। সাধারণ মানুষের জন্যই কাজ করতে চাই।” প্রাথমিক ভাবে দেশের কর ব্যবস্থায় সংস্কার-সহ স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এ সব কাজে ব্যস্ত থাকায় ছুটি কাটানো যে হবে না তা-ও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পই প্রথম নন, এর আগে মার্কিন ইতিহাসে মাত্র এক ডলার বেতন নিয়েছেন তাঁর পূর্বসূরি জন এফ কেনেডি এবং হারবার্ট হুবার।
আরও পড়ুন
নিজের পেন্টহাউস ছেড়ে শুধু হোয়াইট হাউসে থাকতে নারাজ ট্রাম্প?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy