পূর্ব আজ়ারবাইজানে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে উদ্ধারকারীরা। ছবি: রয়টার্স।
ইরান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির চপার পাহাড়ের মাঝে ভেঙে পড়েছে বলে আশঙ্কা। এখনও তার খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি অভিযানে সাহায্যকারী তুরস্কের একটি ড্রোন পাহাড়ের মাঝে জ্বলন্ত কিছু দেখতে পেয়েছে বলে খবর। প্রেসিডেন্টের জীবন নিয়ে আশঙ্কা আরও বেড়ে গিয়েছে। পাহাড়ের কাছে পৌঁছেছেন উদ্ধারকারীরা। চিহ্নিত করা হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলও। তবে চপারে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অবস্থা এখনও স্পষ্ট নয়।
রইসির চপারে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান। ইরান প্রশাসনের এক শীর্ষ পদাধিকারী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, একটি পার্বত্য অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় চপারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে দৃশ্যমানতা খুব কম ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন, “আমরা এখনই হাল ছাড়ছি না। তবে যেখানে চপারটি ভেঙে পড়েছে, সেই এলাকাটা আমাদের চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে।”
সোমবার সকাল পর্যন্ত চপারের খোঁজ মেলেনি। তবে দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে। ইরানের সঙ্গে উদ্ধারকাজ এবং চপার তল্লাশিতে হাত লাগিয়েছে তুরস্কও। ইরান স্টেট মিডিয়া এবং তুরস্কের নিউজ় এজেন্সি জানিয়েছে, পাহাড়ের মাঝে যে এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে আশঙ্কা, সেখানে আগুনের উৎস দেখতে পেয়েছে তুরস্কের একটি ড্রোন। সেখানে গিয়েই চিহ্নিত করা হয়েছে দুর্ঘটনাস্থল।
আজ়ারবাইজান সীমান্তের কাছে গিয়েছিলেন রইসি এবং আমিরাবদোল্লাহিয়ান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। তল্লাশি অভিযানে রাতেই সেনাবাহিনী নামিয়ে দিয়েছে ইরান। পায়ে হেঁটে কুয়াশাঢাকা দুর্গম পাহাড়ে তারা চপারের খোঁজ করছে। আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।
৬৩ বছর বয়সি রইসি ২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইরানের রাজনীতির সর্বময় নেতা তিনিই। চপার দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হলে পশ্চিম এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে তার গভীর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আরবীয় মালভূমির দেশগুলি দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy