শীতে কাবু আমেরিকা। বম্ব সাইক্লোনের দাপটে জমে গিয়েছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে শুরু করে স্ট্যাচু অব লিবার্টির আশপাশও। আর ঠিক তখনই বরফ গলার ইঙ্গিত মিলল অন্য প্রান্ত থেকে। দু’বছরেরও বেশি সময় পরে আজ এক টেবিলে এল দুই কোরিয়া।
বিবদমান দু’পক্ষকে কাছে টানল শীতের অলিম্পিক্সই। ফেব্রুয়ারিতে এই আসর বসছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্যেয়ংচ্যাং-এ। আজ বৈঠক শেষে উত্তর কোরিয়া জানাল, তারা সেখানে প্রতিযোগী পাঠাতে তৈরি। এমনকী, দীর্ঘ ১৩ বছর পরে একঝাঁক তন্বী চিয়ারলিডার্স-ও পাঠাবে পিয়ংইয়ং। কিন্তু কী ভাবে? দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া রয়েছে যে! সমাধান বাতলে দেওয়ার মতো করেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি চো মিয়ং গিয়ন জানালেন, পিয়ংইয়ংয়ের উপর থেকে সাময়িক ভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথাও ভাবছে সোল।
তা হলে তো মিটেই গেল। বৈঠক শেষে দু’দেশের কর্তাদের হাসি-হাসি মুখে এমন একটা আভাস মিললেও, কূটনীতিকেরা কিন্তু অন্য সমীকরণ দেখছেন। তাঁদের দাবি, সোলকে পাশে টেনে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন আদতে ওয়াশিংটন জোটের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চাইছেন। ‘খেলার ছলে’ আন্তর্জাতিক চাপ কমাতে চাইছে পিয়ংইয়ং। পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষায় বেপরোয়া কিমকে ঠেকাতে বরবারই সুর চড়িয়ে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনা নয়, উত্তর কোরিয়াকে অন্য পথে জবাব দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। পারমাণবিক অস্ত্রে কার ভাঁড়ার ভারী, তা নিয়েও শুরু হয়েছিল তরজা। তবে সম্প্রতি সুর নামিয়ে ট্রাম্প জানান, প্রয়োজনে কিমের সঙ্গে বৈঠকে আপত্তি নেই তাঁর। কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, এই ভোলবদল সম্ভবত দুই কোরিয়ার বৈঠক-নির্ঘণ্ট আঁচ করেই।