Advertisement
E-Paper

সৌদি তেলের জাহাজে হামলা

ঘটনা রবিবার ভোরের। সৌদি আরবের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ভোর পাঁচটা নাগাদ বন্দর শহর ফুজারিয়ার কাছে চারটি তেলবাহী জাহাজের দু’টিতে হামলা হয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০৩:১৭
ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের একটি। ছবি রয়টার্স।

ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের একটি। ছবি রয়টার্স।

ইরান-আমেরিকার সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের কারণে এমনিতেই উপসাগরীয় এলাকায় চাপা উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই সৌদি আরব দাবি করেছে, পারস্য উপসাগরে তাদের চারটি তেলবাহী জাহাজের মধ্যে দু’টির উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। কে বা কারা এই নাশকতার পিছনে দায়ী, তা নিয়ে সৌদি সরকার মুখ খোলেনি। তবে তাদের ইঙ্গিত ইরানের দিকে। সরকারি বার্তায় রিয়াধ অবশ্য জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এই নাশকতায় কোনও প্রাণহানি হয়নি। তেল বা অন্য কোনও রাসায়নিক সমুদ্রে মেশেওনি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।

ঘটনা রবিবার ভোরের। সৌদি আরবের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ভোর পাঁচটা নাগাদ বন্দর শহর ফুজারিয়ার কাছে চারটি তেলবাহী জাহাজের দু’টিতে হামলা হয়। ওই জাহাজগুলির তেল কেনে আমেরিকা। রাস তানুরা বন্দর থেকে সৌদি তেল তোলার কথা ছিল জাহাজগুলির। তার আগেই হামলা হয়। এই হামলা গোটা অঞ্চলের জন্য আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে সৌদি সরকার। হামলার নিন্দা করেছে, মিশর, ইয়েমেন, কুয়েতের মতো দেশ।

দু’দিন আগেই ইরান জানিয়েছিল, পারস্য উপসাগরের হরমুজ় প্রণালী রুদ্ধ করে দেবে তারা। গোটা বিশ্বের তেল রফতানির এক তৃতীয়াংশ ওই প্রণালীর মাধ্যমেই হয়। আরবের দেশগুলি থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ, আফ্রিকায় তেল যায় এই প্রণালী দিয়ে। ইরান সরকারের সেই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে আমেরিকা সম্প্রতি উপসাগরীয় দেশগুলিকে সতর্ক করে জানায় যে, তেলের জাহাজগুলির উপরে যে কোনও সময়ে হামলা চালাতে পারে তেহরান। আমেরিকার বক্তব্য, গোটা বিশ্বের তেলের বাণিজ্য বন্ধ করতে এখন বদ্ধপরিকর ইরান। যদিও সৌদি সরকারের মতোই এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা দায়ী, তা নিয়ে মুখ খোলেনি ওয়াশিংটন।

Oil Ship Saudi Arabia The Persian Gulf
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy