Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Cannibalism

বন্ধুদের মাংস খেতে চেয়েছিল ২ ছাত্রী, গ্রেফতার ফ্লোরিডায়

একজন-দু’জন নয়, এ ভাবে বেশ কয়েকজনকে খুন করতে চেয়েছিল ওই দুই পড়ুয়া।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

সংবাদ সংস্থা
টালাহাসি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:২৭
Share: Save:

স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি এখনও। পা রাখেনি কৈশোরেও। তার আগেই অপরাধ জগতে নাম লিখিয়ে ফেলল দুই নাবালিকা। খুন করে বন্ধুদের রক্ত খেতে চেয়েছিল তারা। শেষ মুহূর্তে তাদের রোখা গিয়েছে।দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে মার্কিনবাসীর মনে।

মধ্য ফ্লোরিডার বারটওয়ের একটি মিডল স্কুলে সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে সহপাঠীদের খুন করার ছক ছিল ১১ ও ১২ বছর বয়সী দুই ছাত্রীর। ছুরি নিয়ে স্কুলের শৌচালয়ে অপেক্ষা করছিল তারা। যাতে কেউ ঢোকা মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে তারা। ফালা ফালা করে কেটে ফেলতে পারে তার দেহ।

একজন-দু’জন নয়, এ ভাবে বেশ কয়েকজনকে খুন করতে চেয়েছিল ওই দুই পড়ুয়া। পরে আরামে বসে মৃতদেহ খুবলে খাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে পরিস্থিতি ততটা ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই রোখা গিয়েছে তাদের। শ্রেণিকক্ষে দু’জনকে দেখতে না পেয়ে তাদের মধ্যে একজনের বাড়িতে ফোন করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি শুরু হয়। তাতেই খোঁজ মেলে দু’জনের। তাদের পরিকল্পনার কথা সামনে আসে।

আরও পড়ুন: আমেরিকায় ত্রাস ছড়াল ডাক-বোমা​

আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারাল এসকালেটর, হুড়মুড়িয়ে একে অন্যের ওপর পড়লেন যাত্রীরা, দেখুন ভিডিয়ো​

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বারটওয়ের পুলিশ প্রধান জো হল। তিনি জানান, ষড়যন্ত্র, খুনের চেষ্টা, স্কুলের চৌহদ্দির মধ্যে ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঢোকা, সেটি লুকিয়ে রাখা এবং স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য মেয়ে দু’টির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অপরাধ শিকার করেছে তারা।তারা নিজেদের‘শয়তানের উপাসক’ বলে জানিয়েছে। সকলকে খুন করে আত্মহত্যা করারও নাকি পরিকল্পনা ছিল তাদের।

এমন ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল যাদের, প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে তাদের বিচার হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE