ছবি এএফপি।
অনলাইন সার্চ এবং বিজ্ঞাপনে একাধিপত্য কায়েম রাখতে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ উঠল গুগলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিশ্বাসভঙ্গের মামলা দায়ের করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। এর আগে ১৯৯৮-এ মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে প্রায় এ রকমই একটি মামলা হয়েছিল। তবে এ বারের মামলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একেবারে মুখে হওয়ায় এর সঙ্গে রাজনীতির অঙ্কও জড়িয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যাপল, অ্যামাজ়ন এবং ফেসবুকও একই ভাবে বিচার বিভাগ এবং বাণিজ্য কমিশনের নজরে বলে শোনা যাচ্ছে।
মার্কিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ রোসেন বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় অন্যদের কোণঠাসা করে গুগল নিজের একচেটিয়া কারবার চালাচ্ছে। এতে প্রতিযোগিতা নষ্ট হচ্ছে।’’ ওয়াশিংটনে আদালতে দায়ের হওয়া এই মামলায় অভিযোগ, বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে গুগল ফোন-প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে দিচ্ছে, যাতে তারা তাদের ব্রাউজ়ারে গুগল-কে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে তুলে ধরে।
গুগলের পক্ষ থেকে জবাবি টুইটে দাবি করা হয়েছে, ‘‘এই অভিযোগে গলদ আছে। মানুষ স্বেচ্ছায় গুগলকে বেছে নেন। বাধ্য হয়ে বা বিকল্পের অভাবে নয়।’’ তাদের এ-ও দাবি, ডিফল্ট ব্রাউজ়ার হিসেবে পেলেও সেটা ত্যাগ করে অন্য বিকল্প খুঁজে নেওয়ার স্বাধীনতা গ্রাহকের সব সময়েই থাকে।
আরও পড়ুন: চলছে পুজো-প্রস্তুতি, তবে সব নির্দেশ মেনেই
বিচার বিভােগর তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য ডেভিড সিসিলিন। তাঁর মতে, এই মামলাটা অনিবার্য ছিল। কিন্তু তার পরেও, যে ভাবে ভোট-মরসুমে মামলাটা দায়ের হল, তাতে রাজনীতির প্রশ্নটা উঠছেই। ইতিমধ্যেই ১১টি প্রদেশ থেকে রিপাবলিকান অ্যাটর্নি জেনেরালরা তড়িঘড়ি এই মামলায় সরকার পক্ষে যোগ দিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, গুগলের উপরে ট্রাম্প প্রশাসনের দীর্ঘদিনের জমা ক্ষোভের একটা প্রতিফলন এই সময়টা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে পড়েছে।
আরও পড়ুন: আইজি ‘অপহরণে’ তপ্ত করাচি, সংঘাতে পাক সেনা ও পুলিশ
এই মামলার ভবিষ্যত কী? বাণিজ্য মহলের একাংশ মনে করছেন, গুগল সরকারের সঙ্গে রফায় যাবে। যদি তা না হয়, শুনানি শুরু হতে আগামী বছর তো বটেই, তার বেশিও লাগতে পারে। তবে অনেকেরই বক্তব্য, ইউরোপের মাটিতে বড় অঙ্কের জরিমানা এবং বেশ কিছু বিধি বদল করেও গুগল-এর একাধিপত্য টলানো যায়নি। এখনও বিশ্বের ৯০% ওয়েব সার্চ গুগলের দখলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy