Advertisement
E-Paper

গাজ়ায় মৃত্যুমিছিল! ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডা

গাজ়ায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইজ়রায়েলের পাশে নেই ‘বন্ধু’রাষ্ট্রগুলিও। সোমবারই নিজমুখে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি জানিয়েছেন, ইজ়রায়েলের বন্ধুরাষ্ট্রগুলি গাজ়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৫ ১২:৫৬
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। — ফাইল চিত্র।

প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের সামরিক অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজ়া ভূখণ্ড। ধারাবাহিক বোমাবর্ষণে প্রতি দিনই মৃতের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। তৈরি হয়েছে চরম খাদ্যসঙ্কটও। সেই আবহে এ বার গাজ়ায় হামলা বন্ধের জন্য ইজ়রায়েলের উপর চাপ বাড়ল আন্তর্জাতিক স্তরেও।

গাজ়ায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইজ়রায়েলের পাশে নেই ‘বন্ধু’রাষ্ট্রগুলিও। সোমবারই নিজমুখে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি জানিয়েছেন, ইজ়রায়েলের বন্ধুরাষ্ট্রগুলি গাজ়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে তারা ইজ়রায়েলকে কোনও ভাবেই সমর্থন করতে পারবে না, এমনটাই জানিয়েছে ওই দেশগুলি। তার মাঝে সোমবার ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং কানাডাও হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, ইজ়রায়েল যদি গাজ়ায় সামরিক অভিযান বন্ধ না করে এবং মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দেয়, তা হলে ‘কড়া পদক্ষেপ’ করা হবে। তাই মনে করা হচ্ছে, শেষমেশ আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে রদবদল করতে হয়েছে ইজ়রায়েলকে।

রবিবার গাজ়ায় সীমিত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী ও মানবিক সাহায্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে ইজ়রায়েল। তবে গাজ়ায় ত্রাণ পাঠাতে রাজি হলেও হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের অভিযান থামেনি। বরং নেতানিয়াহু কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রয়োজনে গোটা গাজ়া ভূখণ্ডকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবে ইজ়রায়েল। হামাস যদি বন্দিচুক্তি মানতে রাজি না হয়, তবে হামলা আরও বাড়বে। এরই মাঝে সোমবার গাজ়ায় পাঁচটি ত্রাণবোঝাই ট্রাক প্রবেশ করেছে, এমনটাই জানিয়েছে গাজ়ায় ত্রাণ সরবরাহ অনুমোদনকারী ইজ়রায়েলি সংস্থা। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তা টম ফ্লেচারের মতে, এই ত্রাণ সরবরাহ ‘সীমিত’ এবং ‘অত্যাবশক চাহিদার সমুদ্রে এক বিন্দুমাত্র’।

স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের হামলার পরেই অভিযান শুরু করেছিল তেল আভিভ। কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দু’পক্ষ। তবে প্রথম দফার ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্চের গোড়ায় ফের গাজ়ায় হামলা শুরু করে ইজরায়েলি সেনা। একই সঙ্গে গাজ়া ভূখণ্ডে খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করা-সহ নানা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

israel palestine Hamas Israel war Israel PM Benjamin Netanyahu gaza
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy