অভিবাসন সমস্যা কাটাতে কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার। এত দিন ব্রিটেনে কেউ পাঁচ বছর ধরে থাকলে সে দেশে পাকাপাকি ভাবে বসবাস করার আবেদন জানাতে পারতেন। এ বার থেকে সেই সময়সীমা বেড়ে ১০ বছর হতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে সবচেয়ে বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হতে চলেছেন সে দেশে কর্মসূত্রে থাকা ভারতীয়েরা।
ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সে দেশে কাজ কিংবা পড়াশোনার সূত্রে গিয়েছিলেন প্রায় দু’লক্ষ ৫০ হাজার ভারতীয়। অন্য কোনও দেশ থেকে এত সংখ্যক ব্যক্তির ব্রিটেনে যাওয়ার নজির নেই বলেই জানাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বার থেকে ব্রিটেনে বসবাসকারী অভিবাসীদের ১০ বছর সে দেশে থাকতে হবে। তার পর তারা ব্রিটেনে পাকাপাকি ভাবে বসবাস করার আবেদন জানাতে পারবেন। প্রসঙ্গত, অভিবাসন সমস্যা ব্রিটেনে নতুন নয়। এ ক্ষেত্রে তুলনায় অনেক কঠোর ব্রিটেনের অধুনা বিরোধী দল কনজ়ারভেটিভ পার্টি। ফিনানশিয়াল টাইম্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসন আটকাতে ব্রিটেনের বর্তমান লেবার সরকার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রাখুক— এমন দাবি তোলা হয়েছিল কনজ়ারভেটিভদের তরফ থেকে। তবে এমন লক্ষ্যমাত্রা রাখলেও অভিবাসীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার।
আরও পড়ুন:
ব্রিটেনে বসবাসকারী অভিবাসীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির নাগরিক নন। তবে ব্রিটেনের এত দিনের নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছর ব্রিটেনে থাকলে কেউ সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা বা নাগরিক হওয়ার সুযোগ পেতেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সুযোগ আর থাকছে না। এর ফলে ব্রিটেনে জনসংখ্যার চাপ যেমন কমবে, তেমনই সে দেশের সংস্থাগুলি তুলনায় কম বেতনে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করতে পারবে বলেও মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।