ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ছবি রয়টার্স।
১০ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং যত দিন গড়াচ্ছে, দু’দেশের মধ্যে সংঘাতের তীব্রতা আরও বাড়ছে। গত বুধবার ইউক্রেনের মাটিতে আবার হামলা চালিয়েছে রুশবাহিনী। ওই দিন ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পুতিনের সৈন্যদল। এমনটাই দাবি করেছে কিভ। যার জেরে কার্যত আঁধারে ডুবে গিয়েছে ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকা।
বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হন সে দেশের বাসিন্দারা। অন্ধকারে ঢেকে যায় একাধিক শহরের রাস্তা। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ বাড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে। কোনও কোনও হাসপাতালে টর্চের আলোতেই অস্ত্রোপচার সেরেছেন চিকিৎসকরা। ফোনের চার্জ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার কিভের একটি আশ্রয় শিবিরে বাসিন্দাদের লম্বা লাইন পড়ে যায়।
বিদ্যুৎ না থাকার ফলে পানীয় জলের সঙ্কটও দেখা যায়। বিভিন্ন নলকূপে জল নিতে উপচে পড়ে বাসিন্দাদের ভিড়। দ্রুত এই বিপর্যয় সামাল দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ইউক্রেনের সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পরিষেবা ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে। তবে এখনও অনেক এলাকায় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা পুরোপুরি মেলেনি বলে দাবি।
বুধবার পুতিনের সৈন্যদল ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তার মধ্যে পাঁচটি ড্রোন-সহ ৫১টি ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে নামানো হয়েছে। এই হামলায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক নাবালিকা রয়েছে। হামলার জেরে গত ৪০ বছরে প্রথম বার ইউক্রেনের চারটি পারমাণবিক কেন্দ্রই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও। যার জেরে বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে। এই পরিস্থিতি সামলে আপাতত ঘুরে দাঁড়াতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে ইউক্রেনের প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy