যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই জেলেনস্কিকে ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল আমেরিকা।
যুদ্ধ-পরিস্থিতির মধ্যে তিন বার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে প্রাণ মারার ছক কষেছিল রাশিয়া। ঘটনাচক্রে, প্রত্যেক বারই রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা এফএসবি-র সহায়তায় ওই ছক বানচাল হয়ে গিয়েছে। তিন বারই জেলেনস্কির নিরাপত্তারক্ষীদের আগে থেকে হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে এসএফবি-র অন্দরে ক্রিয়াশীল ‘যুদ্ধবিরোধী অংশ’। ইউক্রেনের নিরাপত্তা আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করা হয়েছে ব্রিটেনের ‘দ্য টাইমস’ এবং আমেরিকার ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ সংবাদমধ্যমে।
‘দ্য টাইমস’-এ দাবি করা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে রুশ সেনার অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে জেলেনস্কিকে প্রাণে মারতে দু’টি দল পাঠানো হয়েছিল। ওই দুই দলের নাম ‘দ্য হ্বাগনার গ্রুপ’ এবং ‘চেচেন’ ঘাতক বাহিনী। পাশাপাশি, ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর দাবি, রাশিয়ার চেনেন সেনার কাদিরোভাইটস দলকে যে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে, সে সম্পর্কে রাশিয়ার এফএসবি-ই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দফতরকে খবর দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পর্ষদের সচিব ওলেকসাই ড্যানিলোভকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পাঠানো সবক'টি আততায়ী দলকে খতম করা হয়েছে। ড্যানিলোভ বলেন, ‘‘এফএসবি-র যাঁরা এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নিতে চাননি, তাঁরাই আমাদের খবর দিয়েছিলেন।’’ একই দাবি করা হয়েছে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর প্রতিবেদনেও।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই জেলেনস্কিকে ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু রাজি হননি প্রেসিডেন্ট। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দেশের দুর্দিনে তিনি পালাবেন না। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘‘রুশ হামলার নিশানা আসলে আমি। আমাকেই ওরা মারতে চায়।’’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশেও বলেন, ‘‘তিনি যদি ভেবে থাকেন, ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করবে, তা হলে ইউক্রেন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy