রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে রাজি! আগেই জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি জানান, ইউক্রেন অধিকৃত কুর্স্কও রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে তার জন্য শর্তও চাপিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাশিয়া এবং ইউক্রেন, উভয় দেশকে আলোচনার টেবিলে বসানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। শুধু তা-ই নয়, কুর্স্কের বদলে ইউক্রেনকে ফেরত দিতে হবে রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ডও।
মঙ্গলবার ‘দ্য গার্ডিয়ান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘আমরা এক অঞ্চলের পরিবর্তে অন্য এলাকা চাই।’’ কুর্স্কের বদলে রাশিয়ার হাত থেকে অন্য অঞ্চল চান জ়েলেনস্কি? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, তাঁদের কাছে সব অঞ্চলই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনও অঞ্চলের ব্যাপারে অগ্রাধিকার নেই। আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টি চূড়ান্ত করতে রাজি জ়েলেনস্কি।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়ায় দখল নেয় রাশিয়া। তার পর ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে ডনেৎস্ক, লুহানস্ক ও জ়াপোরিঝিয়া-সহ মোট চারটি এলাকায় গণভোট করান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কোর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হওয়া ওই নির্বাচনে ৯৯ শতাংশের বেশি ভোট যায় তাঁর পক্ষে। এর পর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিকে রুশ ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করেন তিনি। যদিও এই সব অঞ্চলের উপর মস্কোর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই।
আরও পড়ুন:
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সেনা অভিযান (স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন) চালাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। দিন কয়েক আগেই ট্রাম্প জানান, যুদ্ধে মানুষের মৃত্যু তিনি চান না। যুদ্ধ থামাতে তিনি উদ্যোগী হবেন। তার পরই টেনে আনের ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের প্রসঙ্গ। ট্রাম্প বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, এ ব্যাপারে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করে অনেকটা দূর এগিয়েছেন তিনি। কুর্সিতে বসার পর থেকেই পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ বন্ধ করার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ইউক্রেনকে হাতিয়ার ও গোলা-বারুদ সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশেও সই করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।