রুশ হানা প্রতিহত করতে আমেরিকা থেকে আরও ‘প্যাট্রিয়ট’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেল ইউক্রেন। এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তাঁর দাবি, রাশিয়া প্রতিদিন কিভের উপর হামলা চালাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি, রবিবার রুশ ড্রোনের হামলায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ওই পরিবারের আরও পাঁচ জন। মস্কোর এই ধারাবাহিক হামলা প্রতিহত করতে আমেরিকার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন জ়েলেনস্কি।
সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে জ়েলেনস্কি লেখেন, ‘‘ইউক্রেনে আরও প্যাট্রিয়ট এসে গিয়েছে। সেগুলি মোতায়েন করা হচ্ছে। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিকে নিরাপদ রাখতে আরও এমন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে।’ প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলতে থাকা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ চেষ্টা করেও থামিয়ে উঠতে পারেননি ট্রাম্প। জ়েলেনস্কি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা সেরেছেন তিনি। তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনও সমাধানসূত্র তা থেকে পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সাম্প্রতিক অতীতে বার বার পুতিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ট্রাম্প। পুতিন যে ভাবে আলোচনায় ‘জল ঢেলে’ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আগেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত জুলাই মাসেই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আত্মরক্ষার জন্য’ ইউক্রেনের হাতে আমেরিকার ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা তুলে দিতে চলেছেন তিনি। তবে এর বিনিময়ে সমরাস্ত্র বাবদ কিভের থেকে যথাযথ অর্থও নিচ্ছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে ট্রাম্প রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে একতরফা ভাবে ইউক্রেনকে সাহায্যের নীতি থেকে সরে এসেছিলেন। রাশিয়ারও যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে, এমন একটি ব্যাখ্যাও বার করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসে জ়েলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রকাশ্য বাগ্বিতণ্ডাতেও তার আভাস মিলেছিল। তবে গত কয়েক মাসে ফের রাশিয়ার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছেন তিনি।
গত জুলাইয়ে কিভের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমরা ওদের (ইউক্রেনকে) আরও কিছু অস্ত্র পাঠাচ্ছি। ওদেরও তো আত্মরক্ষা করতে হবে। ওদের উপর ভীষণ হামলা হচ্ছে এখন।” তবে এই অস্ত্রের জন্য যে জ়েলেনস্কিদের জন্য কোনও ছাড় দেবে না আমেরিকা, তা-ও ওই সময় স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, “১০০ শতাংশ মূল্যই দিতে হবে। এটা আমাদের জন্য একটা ব্যবসা হবে।”