রুশ বাহিনীকে টক্কর দিতে চায় ইউক্রেন।
আর বেশি দেরি নেই। যুদ্ধ লাগল বলে! অন্তত তেমন ইঙ্গিতই আজ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। তাঁর যুক্তি, সীমান্তে ক্রমশ সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া। তাই চুপ বসে থাকবে না ইউক্রেনও।
দু’দেশের দ্বন্দ্বে অন্য মাত্রা যোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী শুক্রবার বুয়েনস আইরেসে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে না-ও বসতে পারেন বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ‘সখ্য’ নিয়ে নানা বিতর্ক ছড়িয়েছে। তবে ইউক্রেনের সঙ্গে গত কয়েক দিনে রাশিয়ার সমীকরণ যে জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে, তাতে শুধু ট্রাম্প নন, নিন্দায় সরব অধিকাংশ বিশ্বনেতাই।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রাইমিয়ার উপকূলে কিয়েভের (ইউক্রেনের রাজধানী) তিনটি জাহাজ আটক করার অভিযোগ ওঠে রুশ সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে। ২৪ জন ইউক্রেনীয় নৌসেনাকেও আটক করা হয় বলে দাবি। তবে এ নিয়ে ইউক্রেন রাশিয়া পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করে। পরস্পরের বিরুদ্ধে সমুদ্র সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলে। তার পর থেকেই উত্তাপ শুধু বেড়েছে। চার বছর আগে ইউক্রেন থেকে ক্রাইমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়ার সময় থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব ঘোরালো হয়েছে। ২০১৪ থেকে এই দ্বন্দ্বে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষের।
মঙ্গলবার ক্রাইমিয়ার একটি কোর্টে ইউক্রেনের আটক ২৪ জন নৌসেনার মধ্যে ১২ জনকে বিচারের আগেই দু’মাসের জন্য আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবৈধ ভাবে রুশ সীমান্তে ঢোকার অভিযোগ এনে তাঁদের ছ’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারে মস্কো। এই আচরণে যথেচ্ছ ক্ষুব্ধ ইউক্রেন। রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের মোকাবিলায় দেশের কিছু অংশে সামরিক আইন জারি করেছে তারা। যাতে খেপে গিয়ে ইউক্রেনকে পুতিন হুঁশিয়ারি দেন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য তৈরি হোক তারা।
আজ প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো বলেছেন, ‘‘এটা আর তুচ্ছ ব্যাপার নেই। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে নামার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’’ গত কাল পশ্চিমী মিত্র দেশগুলোকেও বার্তা দিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার উপরে ফের নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জন্য মিত্র দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে তারা। ট্রাম্প এ দিন বলেছেন, রবিবার কী হয়েছিল, নিজের নিরাপত্তা বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জানার পরেই সিদ্ধান্ত নেবেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তখনই মন্তব্য, ‘‘হয়তো আমি ওই বৈঠক করব না। এই আগ্রাসন আমি একেবারেই চাই না।’’ ক্রেমলিনের এখনও আশা, ওই বৈঠক হবে। তবে যুদ্ধপ্রস্তুতিতেও পিছিয়ে নেই রাশিয়া। এ দিন ভূমি থেকে আকাশে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় এমন উন্নত মানের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রাইমিয়ার দিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। তৈরি হচ্ছে রুশ যুদ্ধজাহাজও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy