Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Afghanistan War

Afghanistan-Taliban Crisis: মেয়েদের কাজ এবং শিক্ষার অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘বার্তা’ তালিবানকে

রাজধানী কাবুল দখলের আগে থেকেই তালিবানের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, তারা ক্ষমতা দখল করলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

তালিবান জমানায় ফের নিষেধাজ্ঞার কবলে আফগান মহিলারা।

তালিবান জমানায় ফের নিষেধাজ্ঞার কবলে আফগান মহিলারা। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২১ ১৬:২৬
Share: Save:

মহিলাদের শিক্ষা এবং কাজের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করার জন্য তালিবানকে ‘বার্তা’ দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য তালিবান নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

রাজধানী কাবুল দখলের আগে থেকেই তালিবানের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, তারা ক্ষমতা দখল করলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাঁদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। তালিবান শাসনে মহিলাদের আরও অধিকার দেওয়ার দাবিও করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে উল্টো প্রতিফল দেখছে আফগানিস্তান। গত সপ্তাহে কন্দহরের কয়েকজন মহিলা ব্যাঙ্ককর্মীকে কাজে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল।

কাবুল তালিবানের দখলে চলে আসার পর থেকে শহরের রাস্তায় মেয়েদের ছবি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। অঘোষিত ফতোয়া— রাস্তাঘাটে যেন কোনও নারী-মুখ দেখা না যায়। বোরখা কিংবা হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এমনকি, বাবা, স্বামী বা নিকটাত্মীয়ের সঙ্গ ছাড়া মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেরনোও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তালিবানের এই আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার রুপার্ট কলভিল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘তালিবানকে অবশ্যই মেয়েদের কাজ করার এবং স্কুলে যাওয়ার অধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে অতীতের তালিবান জমানার কথাও বলেন তিনি। জানান, আফগান জনতার একটি বড় অংশ উদ্বিগ্ন। কলভিলের মন্তব্য, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দায়বদ্ধতা দেখানো প্রয়োজন তালিবানের।’’ আফগান জনতার আতঙ্কের কথা বলতে গিয়ে সোমবার কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতিরও উল্লেখ করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE