রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রপুঞ্জ বাংলাদেশের পাশেই থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। এ বার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে নিজেই বাংলাদেশে আসছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনের বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় ইউনূস-সহ অন্তর্বর্তী সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন গুতেরেস। শুক্রবার দুপুরে তাঁরা দু’জনেই যাবেন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে। সন্ধ্যায় মায়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে চলে আসা লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে রমজানের ইফতারে অংশ নেবেন তাঁরা।
পর্তুগালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গুতেরেস ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার আগে ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ছিলেন। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট এবং সে সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে আগে থেকেই তিনি অবগত। এ বারের বাংলাদেশ সফরে তিনি ঢাকাকে শরণার্থী সমস্যার মোকাবিলায় বড় সাহায্যের কথা ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০১৮ সালে।
বাংলাদেশের উপর রোহিঙ্গা সমস্যার প্রভাব এবং তা নিয়ে ইউনূসের উদ্বেগের সঙ্গে আগেই সহমত হয়েছেন গুতেরেস। ফেব্রুয়ারিতে ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা এবং সেখানকার রাজনৈতিক সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে নিযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মায়ানমারে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করছে বলেও ইউনূসকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন গুতেরেস।