সু চির মুক্তির জন্য প্রথম বার প্রস্তাব পাশ রাষ্ট্রপুঞ্জে। ফাইল চিত্র।
মায়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আউং সান সু চি-কে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব পাশ হল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে। প্রস্তাবে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের কাছে সু চি এবং সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট উইন মাইন্ত-সহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। ৭৭ বছরের সুচি-সহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি মায়ানমারে হিংসার ইতি ঘটাবে বলে পাশ হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মায়ানমার সেনা সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। তার পর থেকেই নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রী এবং তাঁর সঙ্গীরা জেলবন্দি। এর পর দুর্নীতি, জনরোষে মদত দেওয়া, কোভিডবিধি ভেঙে নির্বাচনী প্রচার চালানোর মতো একাধিক অভিযোগে সু চিকে দফায় দফায় বিভিন্ন মেয়াদের জেলের সাজা দিয়েছে মায়ানমারের জুন্টা সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালত।
২০২০-র নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল মায়ানমারে। সেই ভোটে বিপুল সংখ্যক আসন পেয়ে জিতেছিল সু চি-র দল। নির্বাচনী প্রচারের সময়ে সু চি এক দিন তাঁর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন। কোনও জমায়েত না হলেও পথচলতি গাড়ি থেকে সু চি-কে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন অনেকে। তখন সু চি মুখোশ বা ফেস শিল্ড পরে ছিলেন না। সেই ঘটনাটিকেই ‘কোভিডবিধি লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ’ বলে চিহ্নিত করেছে মায়ানমারের আদালত।
মায়ানমারের সেনাশাসন নিয়ে সরব সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া, নির্বাচনী নিয়মনীতি লঙ্ঘন করা-সহ অন্তত ১৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই সমস্ত অভিযোগেই দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর সর্বোচ্চ ১৯০ বছরের কারাবাস হতে পারে! প্রসঙ্গত, গত চার দশক ধরে বার বার সেনার নিপীড়নের শিকার হলেও এই প্রথম বার সু চির সমর্থনে কোনও প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy